তাঁর মতে, সিরিজের শেষ টেস্টে প্রথম এগারোয় কিপার হিসেবে ঋদ্ধিমান সাহাকে সুযোগ দেওয়া উচিত। এক বেসরকারি চ্যানেলে প্রাক্তন অলরাউন্ডারটি বলেছেন, পন্থকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। আমাদের দলে তো ঋদ্ধিমান সাহার মতো একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার রয়েছে। ঋদ্ধি ব্যাট হাতে হঠকারিতা করে না। একই সঙ্গে দুর্দান্ত কিপারও।
advertisement
আরও পড়ুন - Sri Lanka Cricket: ইচ্ছে হলেই আর অবসর নেওয়া যাবে না! ক্রিকেটে এবার কঠিন নিয়ম
পন্থকে সবার আগে বুঝতে হবে, টেস্ট ক্রিকেটে কীভাবে ব্যাটিং করা দরকার। যদি এই ব্যাপারে ওর মনের মধ্যে কোনও সংশয় জন্মে থাকে, তবে ওকে বিশ্রাম দেওয়াই শ্রেয়। মানছি, ও একজন ম্যাচ উইনার। কিন্তু তারপরও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, টেস্টে এভাবে ব্যাট করা যায় না। দলের কথা ভেবে মাঠে নামা উচিত। খামখেয়ালি করার জন্য নয়।
উল্লেখ্য, পন্থের ওই শট তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছিল ক্রিকেট মহলে। গাভাসকর বলেছিলেন, এত খারাপ শটের জন্য কোনও অজুহাতই যথেষ্ট নয়। গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না এই শট। এটাই নিজের খেলা বলে যুক্তি সাজানোরও কোনও জায়গা নেই। গুরুদায়িত্ব পালনের উপযুক্ত মনোভাব দেখা গেল না পন্থের মধ্যে। অথচ, অন্যপ্রান্তে ওর সতীর্থরা গায়ে-মাথায় বলের আঘাত নিচ্ছে।
রাহানে, পূজারারা সেই আঘাত মুখ বুজে সহ্য করেছে। তেমন লড়াকু মানসিকতা প্রত্যাশিত ছিল পন্থের থেকেও। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তা ওর ব্যাটিংয়ে ধরা পড়েনি। জোহানেসবার্গ টেস্ট হারের পর ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। দ্রাবিড় এই ব্যাপারে পন্থের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন বলে জানান।
মদন লাল মনে করেন পন্থ তরুন হলেও বেশ কিছু বছর জাতীয় দলে খেলছেন। ফলে টিম ইন্ডিয়ার চাহিদা সম্পর্কে তিনি অবগত। অনেক সুযোগ পেয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে। এবার সিরিয়াস না হলে কপালে দুঃখ আছে।