নীল-সাদা বনাম লাল-সাদার লড়াই। লড়াইটা লাতিন ছন্দ বনাম ইউরোপীয় শক্তির। লিও মেসি। লুকা মদ্রিচ। দুইজনের মিল অনেক। দুজনের জার্সি নম্বর ১০। দু'জনকে তাই ফুটবল বিশ্ব চেনে এলএম টেন হিসেবে। দু'জনের নামের পাশেই বিশ্বকাপে সেরা ফুটবলার হওয়ার তকমা আছে। দু'জনের ঝুলিতেই ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জয়ের ইতিহাস আছে। দু'জনের ঝুলিতে লা লিগা সহ একাধিক ট্রফি রয়েছে। দুজনেই জিতেছেন ব্যালন ডিওর। দুইজনেই আবার বিশ্বকাপ জয়ী টিমের সদস্য নন।
advertisement
দু'জনেই ফাইনালে উঠে হেরেছে। ২০১৪তে রানার্স মেসি। ২০১৮তে রানার্স মদ্রিচ। দু'জনের কাছে এবার শেষ বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ। দু'জনেই একে অপরের বিপক্ষে এল ক্লাসিকোতে একাধিকবার খেলেেছন। তাই দু'জন দুজনকেই হাতের তালুর মতো চেনেন।
আরও পড়ুন - মেসির মুখে এ কী ভাষা! লাইভ সাক্ষাৎকারের সময় ডাচ প্লেয়ারকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য কথা,রইল ভিডিও
সেই দু'জন এবার এক স্বপ্ন পূরণের সন্ধানে। শুধু দেশটা আলাদা। ৩৫ বছরের মেসির কাঁধে ভর করে তৃতীয়বার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ৩৭-র লুকা মদ্রিচের হাত ধরে দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠার স্বপ্নে বুঁদ ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার ছোট্ট দেশটি। চলতি বিশ্বকাপে নিজের সেরা ফর্মে রয়েছেন মেসি। ৫ ম্যাচে ৪ গোল করে রয়েছেন গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে। সামনে শুধু এমব্যাপে। মেসি শুধু গোল করছেন না। গোল করাচ্ছেন। ২টো গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন নীল-সাদার মাসিহা এমএল টেন। আর একটা গোল করলেই বাতিস্তুতাকে টপকে দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ মঞ্চে সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন।
অন্যদিকে ২০১৮ বিশ্বকাপে জোড়া গোল এবং ১টা অ্যাসিস্ট করা লুকা মদরিচের কাতারের পরিসংখ্যান মেসির মতো চকচক করছে না। একটাও গোল নেই। একটাও অ্যাসিস্ট নেই। একটা হলুদ কার্ড রয়েছে। তবে পরিসংখ্যান সবসময় কী সত্যি কথা বলে। মদ্রিচের কাছে রয়েছে অদম্য জীবন শক্তি আর হার না মানা মনোবল। আর রয়েছে ১২০ মিনিট যন্ত্রের মতো লড়াইয়ের ক্ষমতা। মেসির শিল্পের সঙ্গে যা টক্কর দেবে প্রতি মুহুর্তে। তাই সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনা বনাম ক্রোয়েশিয়ার লড়াই মানে, মেসি বনাম মদরিচের লড়াই। হয়তো মঙ্গলের সেমিফাইনালে যে জিতবে সেই হবে রিয়েল এলএম টেন।
ERON ROY BURMAN