শুক্রবার আইপিএলের ম্যাচে লড়াই ছিল পয়েন্ট টেবলের ৬ নম্বরে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম ৭ নম্বরে থাকা লখনউ সুপার জায়ন্টসের৷ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া৷ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে যেখানে লখনউ সুপার জায়ন্টস ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৩ রান করে৷
শুরুটা অবশ্য এদিন মন্দ করেনি লখনউ সুপার জায়ন্টস৷ প্রথম উইকেট তারা হারায় ৭৬ রানে৷ ৩১ বলে ৬০ রানের ধামাকা ইনিংস খেলেন মিচেল মার্শ৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৯ টি চার ও ২ টি ছক্কা দিয়ে৷ অন্য ওপেনার মার্করমও দারুণ পারফর্ম করেন৷ তাঁর অবদান ৩৮ বলে ৫৩৷ তাঁর ইনিংসে ছিল ২ টি চার ও ৪ টি ছক্কা৷
advertisement
তবে তাড়াতাড়ি ফেরেন নিকোলাস পুরান, ফের ফ্লপ সেখানে অধিনায়ক পন্থ৷ তাঁর অবদান মাত্র ২ রান৷ এদিন যখন পন্থ ব্যাট করতে নামেন তখন এলএসজি -র স্কোর ২ উইকেটে ৯১৷ ফলে কোনও বাড়তি চাপও ছিল না অধিনায়কের ওপর৷ খেলা গড়িয়েছিল ৯ ওভারে ফলে ধীরে সুস্থে ফর্মে ফেরার আইডিয়াল সুযোগ ছিল পন্থের সামনে৷ মাত্র ৭ ওভারে মার্করম ও মিচেল মার্শ ৭৬ রান করে ফেলেছিলেন৷ কিন্তু ‘কপালের নাম গোপাল’- নিজের ব্যাডপ্যাচ এদিনও কাটিয়ে উঠতে পারলেন না তিনি৷
আয়ুষ বাদোনি ১৯ বলে ৩০ রান করেন, ১৪ বলে ২৭ করেন ডেভিড মিলার৷ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২৩ রানে শেষ হয় এলএসজি-র ইনিংস৷ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সফলতম বোলার অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া তিনি নেন ৫ উইকেট৷
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা বিহীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ওপেনিং জুটি ফ্লপ৷ ১৭ রানের মধ্যে দু উইকেট হারায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল৷ উইল জ্যাকস ৫ ও রিকেলটন ১০ রান করেন৷ দুই ওপেনারকে হারিয়ে যখন চাপে মুম্বই তখন নমন ধীর দারুণ ইনিংস খেলেন৷ ২৪ বলে ৪৬ রান করেন তিনি৷
এরপর খেলা চালিয়ে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভর্মা৷ সূর্য কুমার ৪৩ বলে ৬৭ রান করে আউট হন স্কাই৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৯ টি চার ও ১ টি ছক্কা দিয়ে৷ এদিকে শেষবেলায় রান তাড়ার চাপ না নিতে পেরে রিটায়ার্ড আউট নিয়ে নেন তিলক ভর্মা৷ সেই সময়ে তাঁর উল্টোদিকে ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া৷ তবে হার্দিক মরিয়া চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না৷