সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, অবশ্যই আরও দু'বছর ভারতকে টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিতে পারত বিরাট কারণ আগামী দু'বছর ভারত নিজেদের মাটিতেই খেলবে। তবে এতদিন নেতৃত্ব দিলে ওর ঝুলিতে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ জয়ের সংখ্যাটা পঞ্চাশ বা ষাট হত এবং এইটা অনেকেই হজম করতে পারতেন না।
advertisement
তবে, কোহলির অবসরের সিদ্ধান্তকে যে সম্মান জানানো উচিৎ সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রবি। তাঁর কথায়, দু'বছর ও চালিয়ে যেতেই পারত কিন্তু আমাদের উচিৎ ওর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো। ২০১৭ থেকে ২০২১-এর টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত কোহলির সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন রবি শাস্ত্রী। এই জুটিই টেস্ট ক্রিকেটে ভারতকে আইসিসি ক্রমতালিকায় ৭ নম্বর থেকে শীর্ষস্থানে নিয়ে গিয়েছিল।
বিরাট কোহলির নেতৃত্বে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও যদিও টেস্ট সিরিজ হাতছাড়া করেছে ভারত। বিরাটের প্রশংসায় শাস্ত্রীর আরও সংযোজন, ছয় বছর ভারতের অধিনায়কত্ব করেছে বিরাট যার মধ্যে পাঁচ বছর এক নম্বরে ছিল দল। সারা বিশ্বে খুব কম অধিনায়কের এমন রেকর্ড রয়েছে।
ফলে যখন কোনও এই মাপের অধিনায়ক তাঁর দায়িত্ব ছাড়তে চায় তখন সেটা তাঁর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। ও নিজেই একমাত্র জানে অধিনায়কত্ব করতে ওর ভাল লাগছিল কি না। সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি'র যখন অধিনায়কত্ব করতে ভাল লাগেনি তাঁরা সরে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশাপাশি ভারতের পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মাকে দেখতে চান শাস্ত্রী।
এমনকি তরুণ উইকেট রক্ষক ঋষভ পন্থকে অধিনায়ক করা হোক এমন দাবিও উঠছে। রবি শাস্ত্রী মনে করেন পন্থ পেছন থেকে দাঁড়িয়ে ম্যাচ রিডিং করতে পারে। তাই পছন্দ হিসেবে তার কথা বিচার করা যেতে পারে। তার সাক্ষাৎকারে অনেক অতীত ভারত অধিনায়কের নাম নিলেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারণ করেননি রবি শাস্ত্রী। তাই তার ইঙ্গিত সৌরভের দিকে, এমন ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।