তবে চিনের পুলিশ সেদেশের মানুষকে সতর্ক করেছে সম্পূর্ণ অন্য এক কারণে।মেসি ম্যানিয়ার সঙ্গেই জুড়েছে প্রতারক ও টিকিটের কালোবাজারির রমরমা। প্রচুর অসাধু ব্যক্তি মাথা চাড়া দিয়েছে। তাঁরা সাতবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ীকে ভাঙিয়ে, সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে মুনাফা কামানোর পথ বেছে নিয়েছে। এর মধ্যেই চিনে একটি বিজ্ঞাপন ঘুরছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, মেসির সঙ্গে সন্ধ্যা কাটানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে ৩০০,০০০ ইউয়ানের বিনিময়ে (এক ইউয়ান ভারতীয় মুদ্রায় ১১ লাখ টাকা ৫৭ পয়সার সমান)।
advertisement
আরও পড়ুন – রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক রাখা নিয়ে দু’ভাগ ক্রিকেট কর্তারা! বিশ্বকাপের আগেই পরিবর্তন?
বেজিং পুলিশের সিকিউরিটি ব্যুরো চিনা ট্যুইটার প্ল্যাটফর্মে মজা করে লিখেছে, আপনি যদি ৩০০,০০০ ইউয়ানের জন্য প্রতারিত হন, তাহলে আমরা আপনার জন্য গ্লাস তুলে ধরব। আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া প্রীতি ম্যাচ হবে বেজিংয়ে নতুন ভাবে সেজে ওঠা বেজিং ওয়ার্কার স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। একসঙ্গে ৬৫ হাজার দর্শক বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবেন।
অনলাইনে বিভিন্ন ভুয়ো প্রমোশন ছেয়ে গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইন্টার্নাল স্টেডিয়াম পাস পাওয়া যাবে পাঁচ হাজার ইউয়ানে। এর সঙ্গেই থাকছে আট হাজার ইউয়ানে টেলর্ড ভিআইপি প্যাকেজ। এই প্যাকেজে মেসির অটোগ্রাফ জার্সি, সামনের দিকের আসন ও মেসির সঙ্গে ফটো তোলার সুযোগ থাকবে। এমনকী বলা হয়েছে যে, ৫০ মিলিয়ন ইউয়ান খরচ করলে মেসিকে দিয়ে পণ্য প্রমোট করানো যাবে।
তবে শুধু চিন নয়, বেজিংয়ে খেলার পরে আর্জেন্টিনার পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া। সেখানে মেসির দল খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে। তবে এই উন্মাদনার মধ্যেই মেসির একটি সাক্ষাৎকারে মন ভেঙেছে অনেক সমর্থকদের।টাইটান স্পোর্টসের ডেস্ক থেকে মেসির একটি ইন্টারভিউ এদিন প্রকাশ্যে এসেছে।
যেখানে মেসি বলেছেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন না।২০২২ বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। যদিও সাক্ষাৎকারের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে অনেকে ধরে নিয়েছেন যে ২০২২ বিশ্বকাপই ছিল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। তবে যদি নিজেকে ফিট রাখতে পারেন তবে তিন বছর পর আমেরিকার মাটিতে আবার দেখা যেতে পারে লিওকে।