চে গুয়েভারা এবং ফকল্যান্ড যুদ্ধ দুটোই আর্জেন্টিনার ইতিহাসে গর্বের বিষয়। সমগ্র লাতিন আমেরিকার বিপ্লবী হিরো ধরা হয় চে গুয়েভারাকে। তিনি আর্জেন্টাইন। তেমনই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ফকল্যান্ড যুদ্ধ ভোলা সম্ভব নয় আর্জেন্টাইনদের পক্ষে। আর এই দুটো বিষয় নিয়ে মেসি জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে।
আরও পড়ুন - পেলেকে সম্মান জানাচ্ছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনায় বঞ্চিত মারাদোনা! রেগে লাল কন্যা
advertisement
দলের অধিনায়কের কথা শুনে মোটিভেশন পেয়েছেন ডি মারিয়া, মার্টিনেজ, আলভারেজরা। মার্কিন দাদাগিরি বিপক্ষে যেভাবে মানুষকে লড়তে শিখিয়েছিলেন চে এবং মার্গারেট থ্যাচারের ইংল্যান্ডকে যেভাবে যুদ্ধ ভূমিতে টক্কর দিয়েছিল আর্জেন্টিনা, সেটা আজও ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে।
আর্জেন্টিনার মতো আবেগপ্রবণ ও আমুদে সমর্থক খুব কমই দেখা যায়। ফুটবলের বড় আসর মানেই আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। নিজেদের খেলোয়াড়দের প্রশস্তি ও প্রতিপক্ষকে খোঁচা দেওয়া। একদিকে যখন নেদারল্যান্ডস ম্যানেজার ভ্যান গালের উপস্থিতি এবং কিংবদন্তি কোচের শেষ বিশ্বকাপ কমলা জার্সিধারীদের সম্পদ, তেমনই লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ যে কোনও মূল্যে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া আর্জেন্টিনা।
আর মেসি নিজে করছেন চে গুয়েভারার গল্প মোটরসাইকেল ডায়রিজ। তিনিও যে রোজারিওর মানুষ। এই শহর থেকে উঠেই বিখ্যাত হয়েছিলেন চে। সেই শহরের মানুষই মেসি। নিজের জগতে বিশ্বজয় করেছিলেন চে। ক্লাব ফুটবলে এবং কোপা আমেরিকায় সেরা হলেও আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ দিতে পারেননি মেসি এখনও পর্যন্ত। এটাই শেষ সুযোগ। বিশ্বকাপ যুদ্ধের শেষ স্টেশনে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকরের মনের মনিকোঠায় মোটিভেশনের অন্য নাম এই মুহূর্তে চে গুয়েভারা।