দুই বছর আগে বার্সা ছাড়ার আগে যে অর্থ পেতেন, এটা তার চেয়ে চার গুণ কম। ২০২০-২১ মরশুমে বার্সায় মেসির আয় ছিল ১০ কোটি ইউরো। অর্থাৎ, আবার বার্সায় ফিরলে মেসিকে বড় ধরনের অর্থ ছাড় দিতে হবে। এই কম বেতনই শেষ পর্যন্ত মেসির বার্সায় ফেরার পথে বড় বাধা হতে পারে। ২০২১ সালে অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে মেসিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বার্সা।
advertisement
সেবার চোখের জলে বার্সাকে বিদায় বলে মেসি চলে যান পিএসজিতে। ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, মেসি পিএসজিতে প্রতি মরশুমে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো বেতন পান। এ মরসুমের শেষে পিএসজিতে মেসির বর্তমান চুক্তি শেষ হবে। বিশ্বকাপের পর পিএসজিতে মেসির নতুন চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নানা বিষয়ে বনিবনা না হওয়ায় ঝুলে যায় সে চুক্তি-প্রক্রিয়া।
ফরাসি পত্রিকা লেকিপ জানিয়েছে, দুটি কারণে নাকি মেসি আর পিএসজির চুক্তি আটকে আছে, যার একটি হচ্ছে মেসির আর্থিক চাহিদা। এমবাপ্পের চেয়ে কম টাকা পাওয়ার বিষয়টি নাকি মেসি মানতে পারছেন না। আর অন্যটি নতুন চুক্তির মেয়াদ। বর্ধিত চুক্তি কত দিনের হবে, সেটি নিয়ে একমত হতে পারছে না দুই পক্ষ।
অন্যদিকে মেসির সামনে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল এবং এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামির কাছ থেকেও আছে বড় অঙ্কের প্রস্তাব। এমন পরিস্থিতিতে মেসি কম বেতনে বার্সায় ফিরতে রাজি হন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা। লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস আবার মেসির ফেরা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছেন।
লিগ কমিটি সবুজ সংকেত দিলে দলবদলের বাজারে যোগ দিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। চাইলে মেসিকেও ফেরাতে পারবে বার্সা। মেসিকে ফেরাতে এখন তারা স্টুডিওর আরও কিছু মালিকানা বিক্রি করতে চাচ্ছে। স্টুডিওর মালিকানার এই অংশই পঞ্চম ইকোনমিক লিভার কি না, সেটা অবশ্য নিশ্চিত করেনি বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’। তবে এই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্টুডিওর মালিকানা ৪৯%-এর বেশি বিক্রি করতে পারবে না বার্সা।
দুটি অডিওভিজ্যুয়াল বিশেষজ্ঞ কোম্পানি এরই মধ্যে কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা ২০ কোটি ইউরোর বেশি দিতে চেয়েছে। এই অর্থ পেলে অনায়াসে আগামী মরশুমপার করে দিতে পারবে কাতালান ক্লাবটি। লা লিগার বেতনসীমা–সংক্রান্ত নীতি মেনে মেসিকে পারিশ্রমিকও দিতে পারবে তারা।