অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ থেকে ‘লিওনেল মেসি, বিশ্বের সেরা ১০ নম্বরকে স্বাগত’-বলতেই ২২ হাজার দর্শকের গর্জন হার মানায় লক্ষাধিক দর্শকের আওয়াজকেও। মাঠের বাইরেও তখন শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। আতসবাজির রোশনাই, নাচে-গানে বরণ করে নেওয়া হয় আর্জেন্টিনরা কিংবদন্তীকে। আতসবাজির রোশনাই যেন হার মানাবে কাতারের ফাইনালকেও। ডেভিড বেকহ্যাম আলিঙ্গন করেন মেসিকে। লিও-র হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর প্রিয় ১০ নম্বর জার্সি। বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার সময় যা ত্যাগ করতে হয়েছিল মেসিকে।
advertisement
আত্মপ্রকাশে এমন ভালবাসা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মেসি। কোনও ট্রফি জয় বা বড় বড় কথা না বলে সোজাসুজি দিলেন দলের হয়ে ১০০ শতাংশ উজার করে দেওযার প্রতিশ্রুতি। একইসঙ্গ এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। বলেন,”এখানে আসার পর থেকে যে আতিথেয়তা পাচ্ছি তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। নতুন ক্লাবে এই সুযোগটা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে যেন নিজের বাড়িতে আছি। অনুশীলন শুরু করার জন্য তর সইছে না। দলের হয়ে মাঠে নামতে চাইছি। এই ক্লাবের হয়ে জিততে চাই। এই ক্লাবকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
বেকহ্যামও বিশ্বের সেরা ফুটবলার তাদের ক্লাবে আসায় ফ্যানেদের এই মুহূর্ত উপভোগ করার পরামর্শ দেন। আগামি কয়েক দিন ফ্লোরিডা জুড়ে যে উৎসবের আবহ থাকবে তা বলাই যায়। প্রসঙ্গত, শনিবারই মায়ামির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন মেসি। এবার অনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর আগামি শুক্রবারই মিয়ামির হয়ে মাঠে মেসিকে দেখার অপেক্ষায় ফ্যানেরা।