কিন্তু মূল সমস্যা ছিল লাইন, লেন্থ এবং কন্ট্রোল। ওভালে উমেশ ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বল করার সময় প্রতিটি বিভাগে নিখুঁত ছিলেন। হোল্ডিং মনে করেন ১৪০-১৪৪ কিলোমিটার গতিতে ইংল্যান্ডের পিচে সঠিক জায়গায় বল রাখতে পারলে সেরা ব্যাটসম্যানদের ঘাম ছুটিয়ে দেওয়া যায়। সেটাই করেছেন উমেশ। এমনকি বুমরার থেকেও বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছেন। হোল্ডিং পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন
advertisement
দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে বড় ভূমিকা নিতে দেখা যাবে বিধর্বের পেসারকে।
গত বছরের ডিসেম্বরে খেলেছিলেন শেষ টেস্ট। দার্ঘ ৯ মাস পর ফের ভারতের প্রথম এগারোয় উমেশ যাদব। প্রত্যাবর্তনেই নজর কেড়েছেন তিনি। ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়ার সফলতম বোলার উমেশ। তাঁর ঝুলিতে তিন উইকেট। যার মধ্যে জো রুটও আছেন। ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড অধিনায়ককে দ্রুত আউট করে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান তিনি। তারপর দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ওভারটন ও মালানকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে দেন ইংরেজদের।
নিজের বোলিং প্রসঙ্গে উমেশ বলছেন, ‘একজন বোলার হিসেবে উইকেট নেওয়াটাই আমার কাজ। তা সে রুটের উইকেট হোক বা রবিনসনের। তাই সব উইকেটই আমার কাছে সমান।’ ৩৩ বছর বয়সি উমেশ যাদব খেলছেন কেরিয়ারের ৪৯তম টেস্ট। দেড়শো উইকেট হয়ে গেল তাঁর।
নিজের মাইলফলক সম্পর্কে তিনি বলছেন, ‘শুরু থেকে দলের সঙ্গেই রয়েছি, অনুশীলন করছি। তাই ছন্দেই ছিলাম। জানতাম, যে কোনও সময় সুযোগ আসতে পারে। তাই দলের ট্রেনার, ফিজিওর তত্ত্বাবধানে নিজেকে ফিট রেখেছিলাম। এই ম্যাচে তারই সুফল পেলাম।’ অধিনায়ক বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট উমেশকে সেরা ছন্দে বল করতে দেখে খুশি। শেষ টেস্টে ম্যাঞ্চেস্টারে তাঁকে খেলানো হোক, দাবি তুলছেন অনেকে।