অরুণ লালের প্রশিক্ষণে পর পর দু’বার বাংলা রঞ্জির ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল খেললেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। ১১ জুলাই অরুণ লাল নিজেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়ায় সিএবি-র কাজটা সহজ হয়ে যায়। তার আগে থেকেই অবশ্য বাংলার নতুন কোচ খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে শোনা যায়।
advertisement
বাংলার কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর অরুণ লাল বলেছিলেন, আমি ক্লান্ত। ন’মাস ধরে এই দায়িত্ব সামলানো আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। শারীরিক ভাবে আমি আর পারছি না। তাই সিএবি-কে জানিয়ে দিয়েছি যে আমি আর বাংলার কোচ হিসাবে থাকতে চাই না। কে কোচ হবেন সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
উঠে আসে ওয়াসিম জাফর, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মতো নাম। কিন্তু সব থেকে বেশি শোনা যাচ্ছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লর নাম। যিনি বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক, দীর্ঘ দিন বাংলার হয়ে খেলেছেন, ভারতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। নিজে যে আক্রমণাত্মক, দাপুটে মনোভাব নিয়ে খেলতেন, সেটাই বাংলা দলের মধ্যেও তিনি নিয়ে আসবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের বিশ্বাস।
এমনিতে প্রথম ভারতীয় ঘরোয়া দল হিসেবে নামিবিয়াতে পাকিস্তান সুপার লিগের লাহোর দলের বিরুদ্ধে খেলতে যাবে বাংলা। দলের প্রধান কোচ হিসেবে লক্ষ্মী রতন দায়িত্ব নেওয়ার ফলে বাংলার পারফরম্যান্স উন্নত হবে আশা করা যায়।