ধীরেন্দ্র সেন মনে করছেন তার ছেলের উচিত ব্যাক সুইংয়ে আরো শক্তি বাড়ানোর। প্রতিক্রিয়ার সময় আরো কমানো, স্ট্রোকে আরো প্রাবল্য এবং কব্জির জোর বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া উচিত তার, মনে করছেন ধীরেন্দ্র। কোমরের উচ্চতায় রিটার্নে তাকে কব্জির বেগ আরো বাড়ানো এবং শর্ট ব্যাকসুইং আরো পাকা করা এখন চ্যালেঞ্জ হবে লক্ষ্য সেনের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Peng Shuai: মহিলা টেনিস তারকাকে রোজ ধর্ষণ করতেন নেতা! কড়া পদক্ষেপ এবার চিনের বিরুদ্ধে
ধীরেন্দ্র সেন বললেন, মাথার ওপরের শটে গতির সাথে বিস্ফোরক শক্তি প্রয়োগ করে চমক এবং বিভিন্নতা আনতে হবে, তার জন্য প্রয়োজন কাঁধ এবং কব্জির জোর বাড়ানো। ব্যাকসুইং আরো ছোটো করে বেশি গতি এবং শক্তির প্রয়োগ করতে হবে। ব্যাক সুইং ছোটো করার জন্য হাতের জোর খুব বেশি হতে হয় এবং কব্জির জোর ও নমনীয়তা দুটোই প্রবল হতে হয়, ঠিক যেমন দেখা যেত লিয়েন্ডার পেজের শটে।
বার্মিংহামে অল ইংল্যান্ড টুর্নামেন্টে দেখা গেছিল লক্ষ্য সেনের আক্রমনাত্মক খেলার দুর্বলতা। তার প্রতিপক্ষ ভিক্টর আক্সেলসেনের আক্রমণ খুব সহজেই লক্ষ্য সেনের শক্তিশালী রক্ষণও ভেঙে দিচ্ছিল। তার বাবা বললেন, ভিক্টরের মত আক্রমনাত্মক প্লেয়ারের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক খেলা যায় না। ব্যাডমিন্টন এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে লক্ষ্য সেন পুরুষদের প্রথম রাউন্ডে চিনের লি শি ফেংয়ের কাছে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান।
চিনা শাটলার সেনকে ১২-২১, ২১-১০, ২০-১৯-এ পরাজিত করে।প্রথম গেমটি হেরে একটি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচে ফিরতে পারেননি তিনি।তৃতীয় সেটে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন লক্ষ্য। লক্ষ্য ম্যাচটি মাত্র ৫৬ মিনিটেই হেরে যায়।
লক্ষ্য সেন নিয়ে আগেই বড় সাটিফিকেট দিয়েছেন কিংবদন্তি গোপিচাঁদ এবং প্রকাশ পাড়ুকোন। এই ছেলে ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়ন সন্দেহ নেই। সিন্ধুর পর অলিম্পিকে ভারতকে ব্যাডমিন্টনে পদক এনে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে লক্ষ্য সেনের। সেই লক্ষ্যেই নিজেকে তৈরি করছেন লক্ষ্য।
