মহমেডানের পক্ষে আরও আশার কথা, যুবভারতীর গ্যালারিতে থাকবেন হাজার হাজার সমর্থক। ফলে দর্শক সমর্থনেও চাঙ্গা হয়ে থাকবে তারা। আগের ম্যাচে শ্রীনিধি ডেকানকে হারাতে পারলে আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত গোকুলম। কিন্তু শ্রীনিধির বিরুদ্ধে হেরে যায় তারা। ফলে শনিবারের ম্যাচে কার্যত ফাইনাল।
advertisement
গোকুলম গত বারের বিজয়ী। তাদের ট্রফি জিততে গেলে স্রেফ ড্র করতে হবে। কিন্তু মহমেডানের সামনে জয় ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৭। গোকুলম সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪০ পয়েন্টে রয়েছে। মহমেডান শনিবার জিতলে গোকুলমের সমান পয়েন্ট হবে। কিন্তু মুখোমুখি সাক্ষাতের বিচারে তারা চ্যাম্পিয়ন হবে। ট্রফি পেতে মরিয়া মহমেডান।
গত দু’দিন যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে অনুশীলন করেছে তারা। প্রত্যেক ফুটবলারই নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া। বিদেশি আন্দ্রেয়ো রুডোভিচ বলেছেন, খুব কঠিন একটা ম্যাচ হতে চলেছে। কিন্তু জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। সমর্থকরাও পাশে থাকবেন। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকা বলেছেন, আমাদের কাছে আরও একটা সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করা। সুযোগ কাজে লাগাতে আমরা মরিয়া।
শোনা গিয়েছে, শনিবার মাঠে আসবেন প্রায় ষাট হাজার সমর্থক। সন্তোষ ট্রফিতে কেরলের কাছে তাদের ঘরের মাঠে হেরেছে বাংলা দল। শনিবার কেরলেরই এক ক্লাবকে হারিয়ে ঘরের মাঠে ভারতসেরা হতে পারে বাংলার এক ক্লাব। ইতিহাস বলছে এই অবস্থায় পিছিয়ে থাকা দলেরই অ্যাডভান্টেজ বেশি। কারণ তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে অলআউট ঝাঁপাবে মহমেডান। হারানোর কিছু নেই।
তার ওপর ঘরের মাঠে ম্যাচ। বিনা পয়সায় টিকিট বিলি করা হয়েছে সমর্থকদের। গোয়ার কাছে হেরে ডুরান্ড হাতছাড়া হয়েছিল। তবে সমর্থকদের উপস্থিতিতে ৪০ বছরের খরা কাটিয়ে কলকাতা লিগ জিতেছে মহমেডান।
এবার মরশুমের দ্বিতীয় ট্রফি জিততে মরিয়া সাদা কালো শিবির। হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মহমেডানের রুশ কোচ। আন্দ্রে চের্নিশভ বলেন, 'মাঝে আমাদের কোনও সুযোগ ছিল না। তবে এটাই ফুটবল। আমরা আশা ছাড়িনি।