বড় ফাঁকা মাঠে অনেকগুলো ট্রেলার রাখা আছে। তার ওপরেই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী ঘরবাড়ি। সেখান থেকেই এর নাম ‘ট্রেলার পার্ক’। ১৯৪৫ সালে ভিন্স ম্যাকমোহনের জন্ম এখানেই। চরম দারিদ্র্যে কেটেছে ছেলেবেলা। আজ তিনিই WWE নামের বিশ্বের বৃহত্তম পেশাদার রেসলিং নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান।
ট্রেলার পার্কের বস্তি থেকে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। এক লাইনে ভিন্স ম্যাকমোহনের জীবনের গল্প এটাই। ভিন্সের বাবা একটা ছোট রেসলিং কোম্পানি চালাতেন। সেখানে রিংসাইড ঘোষক হিসেবে কাজ শুরু করেন তরুণ ভিন্স। সেই সময় কোম্পানির নাম ছিল ‘ক্যাপিটাল রেসলিং কর্পোরেশন’।
advertisement
আরও পড়ুন- ODI WC 2023: বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলকে ‘জওয়ানের’ বার্তা, কী বললেন শাহরুখ খান
কীভাবে তৈরি হল WWE: ১৯৮২ সালে ক্যাপিটাল রেসলিং কর্পোরেশন কিনে নেন ভিন্স। তার আগে ১৯৭৯ সালে এর নাম বদলে রাখা হয়েছিল WWF অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশন। ২০০২ পর্যন্ত এই নামই ছিল।
কেনার পর কোম্পানির চেহারা আমূল বদলে ফেলেন ভিন্স। একটা সময় এখানে পেশাদার কুস্তিগিররাই আসতেন। লড়াই হত। কিন্তু ভিন্স এই লড়াইকেই আরও চটকদার করে তুলতে চাইলেন।
কুস্তির রিংয়ে আমদানি করলেন স্ক্রিপ্ট। পুরো মারামারিটাই ছকে বাঁধা। আগে থেকেই ঠিক করা কে, কীভাবে লড়বে। সঙ্গে চালু হল উত্তেজক কথার লড়াই, গানবাজনা। আনা হল মহিলা কুস্তিগিরদেরও।
অন্যান্য কোম্পানির কুস্তিগিরদেরও নিজের দলে টানতে শুরু করেন ভিন্স। কুস্তি পৌঁছে যায় আমজনতার ড্রয়িং রুমে। ছোটদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয় এই শো। ধীরে ধীরে WWE মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রেসলিং কোম্পানিতে পরিণত হয়।
কোম্পানির আইপিও: ১৯৯৯ সালে শেয়ার বাজারে নাম লেখায় ভিন্সের কোম্পানি। ১৭ কোটি ডলারের আইপিও বিক্রি হয়। ততদিনে WWF এক বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর দিন ডার্বি নয়! তা হলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্য়াচ কবে? বদলাবে দিন
প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ২ কোটি মানুষ এই শো দেখেন। তবে কিছু বদনামও হয়। ভিন্সের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ এবং স্টেরয়েড ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
৯০-এর দশকে WWF-এর দর্শক সংখ্যায় ভাঁটা পড়েছিল। সেই সময়ই স্ক্রিপ্টের আমদানি করেন ভিন্স। ম্যাজিকের মতো কাজ হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে আর WWF-কে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।