দলের আস্থার মর্যাদা দিতে পারাও জুগিয়েছে তৃপ্তি। বৃহস্পতিবার ইডেনে ম্যাচ জেতানো ৬৪ রানের ইনিংস উপহার দেওয়ার পর তিনি বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই খেলছি। ২০১৯ সালের শেষ থেকেই কিপার ব্যাটার হিসেবে দলে রয়েছি। আমার কাছে এটা মোটেই নতুন কিছু নয়। এই ভূমিকায় থিতু হওয়ার জন্য সময়ও দেওয়া হয়েছে আমাকে।
advertisement
আরও পড়ুন - ইডেনে ভারত পাকিস্তান বিশ্বকাপের ম্যাচ! নভেম্বরে বিরাট শাহিন দ্বৈরথ হতে পারে কলকাতায়
অধিনায়ক ও কোচের সমর্থন থাকায় সেরাটা উজাড় করে দিতে পেরেছি। দলের কাজে আসতে পেরে ভাল লাগছে। অন্য ফরম্যাটের চেয়ে এখানে আমার ভূমিকা আলাদা। এই চ্যালেঞ্জ খেলার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। দলের চাহিদা অনুসারে নানা ভূমিকায় মানিয়ে নেওয়ার কথা শুনিয়েছেন লোকেশ।
যদিও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চলতি ওডিআই সিরিজে ঈশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদব মাঠে নামার সুযোগ না পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। পক্ষপাতিত্ব করে রাহুলকে খেলানো হচ্ছে, এমন অভিযোগও উঠেছে টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে। লোকেশ যদিও তা কানে নিচ্ছেন না। শুধু ব্যাটিং-কিপিং নয়, ফিটনেসের দিকেও বাড়তি নজর দিতে হয় রাহুলকে।
৩০ বছর বয়সি তারকা বলেছেন, কিপিং ও ব্যাটিংয়ে শরীরের উপর বেশি চাপ পড়ে। তাছাড়া সাদা বলের ক্রিকেটে সবসময় কিপিং করতে হয় না আমাকে। সেজন্যই কাজটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই ফিটনেস ধরে রাখতে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। একদিনের ম্যাচে ৫ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামছেন।
এই নিয়ে অবশ্য অভিযোগ নেই রাহুলের। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ওপেনার। কিন্তু একদিনের ম্যাচে নাম্বার ফাইভ। রাহুল বলছেন এই পজিশন মাথায় রেখেই প্রস্তুত হচ্ছেন দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যে।