ম্যাচে টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। শুরুটা একটু ধীর গতিতে করেন গুজরাতের দুই ওপেনার শুবমান গিল ও সাই সুদর্শন। কিন্তু সেট হতেই রানের গতিবেগ বাড়ান দুই তারকা। ওপেনিং জুটিতে শতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন সাই সুদর্শন ও শুমান গিল। ১১৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাতের। ৩৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সাই সুদর্শন। তবে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান শুবমান গিল।
advertisement
গিলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জোট বেঁধে ঝোড়ো অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন জস বাটলার। ৫৫ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শুবমান গিল। ১০টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। রাহুল তেওয়াটিয়া এসে খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন। তবে জস বাটলেরের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে দুশো রানের কাছাকাছি পৌছে যায় গুজরাত টাইটান্সের স্কোর। ২৩ বলে ৪১ করে বাটলার ও ৫ বলে ১১ করে শাহরুখ খান অপরাজিত থাকেন।
কেকেআরের ওপেনি জুটিতে এদিন পরিবর্তন করা হয়। কুইন্টন ডিককের বদলে দলে আসেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে ব্যর্থ হন তিনি। ১ রান করেই আউট হন আফগান তারকা। সুনীল নারিন ও অজিঙ্কে রাহানে দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রান যোগ করেন। কেকেআর অধিনায়ককে এদিন ছন্দে পাওয়া যায়। নারিন ১৭ রান করে আউট হলেও এক ধার খেকে দলকে কার্যত একার হাতে টানেন রাহানে। নিজে হাফ সেঞ্চুরিও করেন। বড় রান পাননি ভেঙ্কটেশ আইয়ারও ১৪ রান করেন তিনি।
রাহানে আউট হতেই ফের পুরোপুরে ব্যর্থ হয় কেকেআরের মিডল অর্ডার। একজন অতিরিক্ত ব্যাটার খেলিয়েও কোনও লাভ হয়নি নাইটদের। আন্দ্রে রাসেল ২১, রমনদীপ সিং ১, মইন আলি খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন। শেষের দিকে রিঙ্কু সিং ও আংক্রিশ রঘুবংশী চেষ্টা করলেও ততক্ষণে ম্যাচ কলকাতার হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে কেকেআর।