রবিবার এমন অবস্থা হল যে তাঁকে চার ওভার বল করানোই গেল না। দু’ওভারে ২৩ রান দিলেন তিনি। ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল নারিনকে। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ তিনি। তিন বলে শূন্য রান করে আউট হয়ে যান। বোল্ড হন আকাশের বলে। রবিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে এক ওভারে ১৭ রান দিলেন রাসেল। ব্যাট করতে নেমে ৬ বলে করলেন ৯ রান।
advertisement
শুধু চেন্নাই ম্যাচই নয়, এবারের আইপিএলে একের পর এক ম্যাচে রান নেই রাসেলের ব্যাটে। কলকাতার চার বিদেশির মধ্যে দু’জন ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ হওয়ায় চাপে পড়ে যাচ্ছে দল। আসলে এই দুজন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি নিঃসন্দেহে তাদের সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন। আইপিএলের মত কঠিন টুর্নামেন্টে পারফর্ম করার মতো ফিটনেস এবং শক্তি কমেছে তাদের। এটা দেখেও দেখছে না কেকেআর ম্যানেজমেন্ট।
পোলার্ড একসময় ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের অন্যতম সেরা শক্তি। তাকে এখন দলের কোচিং স্টাফের দায়িত্ব দিয়ে টিম ডেভিড এবং ক্যামেরণ গ্রিনকে নিয়ে এসেছে মুম্বই। এখানেই পিছিয়ে পড়েছে কেকেআর। শাহরুখ খানের দলের দক্ষিণ ভারতীয় সিইও ক্রিকেটের কিছুই বোঝেন না। বছরের পর বছর শুধু তার চাকরি থেকে যায়।
সমর্থকদের হতাশ হতে হয়। কয়েকজন নিম্নমানের ক্রিকেটার নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যায় কেকেআর। এটাই হয় বছরের পর বছর। কেউ প্রতিবাদ করার নেই, কেউ মুখের উপর বলার নেই। শাহরুখ খান সময় পান না ব্যস্ত থাকার কারণে। দলের অন্য মালিক জুহি চাওলার স্বামী হয়তো ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাদের কাছে ক্রিকেট বছরের দেড় মাসের বিনোদন।
কিন্তু কলকাতার মানুষের কাছে সেটা আবেগ। সেই আবেগে ধাক্কা লাগছে বারবার। শহরের নাম বদনাম হচ্ছে। তাই চেন্নাইয়ের কাছে হারের পর শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা বলছেন, ' রাসেল, নারিন হাঁটাও - কলকাতা বাঁচাও'। তাদের এই দাবি একেবারেই ন্যায্য।