অতীতে আলির সাফল্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে পদক এনে দিয়েছিল। ২০০২ কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম ভারতীয় বক্সার হিসেবে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন তিনি। সেই আলির গুরু হিসেবে ধরা হয় চিনা ভাইকে ( মেরাজ আহমেদ খান)। খিদিরপুর স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনে দীর্ঘদিন ধরে বহু বাচ্চাকে বক্সিং শিখিয়ে আসেন চিনা। পেশায় ভারতীয় রেলের কর্মী। নেশা বক্সিংয়ের।
advertisement
তার ভাই নাসিম আহমেদ নিজেও আন্তর্জাতিক বক্সার এবং ট্রেনার। আসন্ন রবিবার মমিনপুরের হোসেন শাহ পার্কে আন্তর্জাতিক বক্সিং নাইটের আয়োজন করেছেন নাসিম। বাংলাদেশ থেকে এসেছেন দুজন বক্সার। এছাড়াও পঞ্জাব থেকে চারজন, হরিয়ানা থেকে দুজন, মুম্বই থেকে একজন এবং উত্তর প্রদেশ থেকে দুজন বক্সার এসেছেন।
পশ্চিমবাংলা থেকে আছেন চারজন বক্সার। নাসিম জানিয়েছেন, বক্সিং সম্পর্কে কলকাতার মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে এই প্রচেষ্টা তাদের। বক্সিং এমন একটি খেলা যা ভারতে প্রতিদিন নতুন দিশার আলো দেখাচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে। অনেকে বক্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
আলি কামারের পর ভারতীয় বক্সিংয়ে অখিল কুমার, শিবা থাপা, অমিত পাঙ্ঘল উঠে এসেছেন। মেয়েদের মধ্যে লাভলিনা এবং এখন নিখাত জারিন বেশ নাম করেছেন। নাসিম মনে করেন রাঙ্কিং বাউট হওয়ার কারণে তাদের প্রতিযোগিতা দারুন জমে উঠবে।
ইন্ডিয়ান বক্সিং কাউন্সিল থেকে বিচারকরা আসবেন। খিদিরপুর চিরকাল বাংলার বক্সিংয়ের স্তম্ভ। নবাব আলি পার্কে অতীতে বহু নামী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।