ভারতের এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার দারুন ইয়র্কারের জন্য জনপ্রিয় হয়েছিলেন। আইপিএলের দ্বিতীয় মরসুমে তিনি প্রশংসা পেয়েছিলেন। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে খেলা কামরান খানের বোলিং অনেকেরই মনে আছে নিশ্চয়ই!
আরও পড়ুন- ভারতের এশিয়া কাপের শিবির শুরু! বেঙ্গালুরুতে নিজেদের ভুল শুধরে নেবেন কোহলিরা
রাজস্থান রয়্যালসের তৎকালীন অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন বেশ পছন্দ করতেন কামরানকে। ওয়ার্ন কামরান খানকে নতুন নামও দিয়েছিলেন। ভারতীয় পেসারকে ওয়ার্ন ডাকতেন টর্নেডো নামে। তিনি কামরানকে ভারতের ভবিষ্যত তারকা বলেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য হয়তো তাঁর জন্য অন্য স্ক্রিপ্ট লিখে রেখেছিল।
advertisement
আইপিএলে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে বোলিং করা কামরান খানকে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। কিন্তু বোলিং তাঁর অ্যাকশন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ফলে তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। পরে ক্লিন চিট পেলেও দেরি হয়ে গিয়েছিল।
কামরান বর্তমানে টেনিস বলের স্থানীয় টুর্নামেন্ট খেলে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার হয়েছে। কামরানকে টেনিস বল টুর্নামেন্ট খেলতে দেখা যাচ্ছে।
২০১০ সালে কামরানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। তাঁকে অস্ট্রেলিয়া যেতে হয়। যদিও পরে কামরানের বোলিংয়ের সবুজ সংকেত পান। কামরান ২০১১ সালে পুনে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন- এশিয়া কাপের দলে সূর্য কুমার কেন? যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না তারকা ক্রিকেটার
আইপিএলে প্রথম সুপার ওভার করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। কেকেআরের বিরুদ্ধে সুপার ওভার করেছিলেন কামরান। সেই ম্যাচে কামরানের সুপার ওভার ছিল মাস্টার স্ট্রোক। ম্যাচ জিতেছিল তাঁর দল।
উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে জন্ম নেওয়া ৩২ বছর বয়সী কামরান খান আইপিএলের ৯ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত আইপিএলে খেলেছিলেন। কামরান তাঁর টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে ১১ ম্যাচে ১২টি উইকেট নিয়েছেন।