একদিকে এই ম্যাচ যেমন ডু অর ডাই বাগানের কাছে। ঠিক তেমনই ডার্বিতে পূর্ণ শক্তির দলও পাচ্ছে না মোহনবাগান। দলের ৭ জন প্লেয়ার জাতীয় দলে রয়েছে ও এক জনের চোট। ফলে প্রথম সারির ৮ প্লেয়ারকে ছাড়াই নামতে হবে দলকে। সেক্ষেত্রে পেত্রাতোস, সাদিকু, কামিন্সদের মত বিদেশীরাই ভরসা মোহনবাগানের। হাফ দল থাকলেও ম্যাচের আগে লড়াইয়ের হঙ্কার দিয়েছেন মোহনবাগানের অন্তর্বতীকালীন কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা।
advertisement
মেগা ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বলেন,”আমরা জানি যে এই ধরনের ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল থাকাটা খুব দরকার। তবে যা নেই তা নিয়ে ভেবে কী লাভ। যারা আছে তারা নিজেদের একশো শতংশ দিতে হবে। তা হলেই ম্যাচ জিতব। এই ম্যাচ জিতলে শুধু সেমিফাইনালের টিকিট পাকা হবে তাই নয়, এশিয়ার ফুটবলে কেলার সুযোগ মিলবে। তাই সবদিক মাথায় রেখেই নামবে ছেলেরা।”
পাল্টা দিতে ছাড়েননি ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতও। ড্র নয়, জেতার মানসীকতা নিয়েই যে তাঁর দল নামবে তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন লাল-হলুদের হেডস্যার। কুয়াদ্রাত দায়িত্ব নেওয়ার পর দলটা রাতারাতি পুরোপুরি বদলে যায়নি ঠিকই। কিন্তু গত কয়েক মরশুমের ইস্টবেঙ্গল দল ও এবারের দলের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা মানতেই হচ্ছে। তবে ক্লেইটন সিলভা ছাড়া তাঁর দলে যে ম্যাচ উইনার নেই তা মেনে নিচ্ছেন কুয়াদ্রাত। ফলে ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা নয়, টিম গেমেই জার্বি জয়ের ছক কষছেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ
সাংবাদিক বৈঠকে কুয়াদ্রাত বলেছেন,”সব বিভাগে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ফুটবল খেলতে হবে। জয়ের মনোভাব নিয়ে প্লেয়াররা মাঠে নামবে। ড্রয়ের জন্য মাঠে নামলে, হারার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা জেতার জন্যই নামব। তবে যারা প্রথম গোল করবে, তারা কিছুটা অ্যাডভান্টেজে থাকবে। ওদের দলে ম্যাচ উইনার বেশি। আমাদের দলগত শক্তিতে জোর দিতে হবে। আশা করছি জিতেই মাঠ ছাড়ব।”
আরও পড়ুনঃ Rohit-Rinku Partnership: রোহিত শর্মার ধামাল, রিঙ্কু সিংয়ের কামাল, জুটিতে ৫ রেকর্ড ‘বেমিসাল’
প্রসঙ্গত, সেমি ফাইনালে যেতে হলে সুপার কাপ ডার্বি জিততেই হবে মোহনবাগানকে। কারণ ২ ম্যাচে ৫ গোল করে ৩ গোল খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ২ ম্যাচে ৪ গোল করে ২ গোল খেয়েছে মোহনবাগান। গোল পার্থক্য একই হলেও গোল করার নিরিখে এগিয়ে লাল-হলুদ। তাই ডার্বি ড্র করতে পারলেই সেমিতে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। আর মোহনবাগানের চাই পুরো পয়েন্ট। শেষ হাসি কে হাসে সেটাই দেখার।