প্রথমার্ধেই তুল্যমূল্য লড়াই চলছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের। ম্যাচের ১৯ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। বাগানের হয়ে গোল করেন হেক্টর ইউস্তে। কিন্তু সেই সেলিব্রেশন বেশি সময় স্থায়ী হয়নি ক্লিফোর্ড মিরান্ডার দলের। গোল হজম করার ৪ মিনিটের মধ্যেই ক্লেইটন সিলভার রকেট গতির শট জাল কাপিয়ে দেয় মোহনবাগানের। সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। কলিঙ্গে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলছে বাংলার দুই প্রধানের।
advertisement
ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে মোহনবাগান। খেলা ধরতে কিছুটা সময় নেয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। একের পর এক আক্রমণের ফলও পায় মোহনবাগান। ম্যাচের ১৯ মিনিটে মোহনবাগানকে গোল করে এগিয়ে দেন হেক্টর হউস্তে। গোল খেয়ে খোঁচা বাঘের মত তেড়েফুড়ে আক্রমণে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। শৌভিকের একটি শট বারপোস্টে লাগে। আক্রমণের ঝাঁঝ ক্রমাগত বাড়ায় ইস্টবেঙ্গেলের অ্যাটাকিং লাইন।
মোহনবাগানের গোলের ঠিক ৪ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে লাল-হলুদ। বক্সের বাইরে ডানপায়ে দুর্দান্ত শট ক্লেইটন সিলভা মোহনবাগানের জাল কাপিয়ে দেয়। ১-১ করে খেলার রাশ ধরে নেয় ইস্টবেঙ্গল। লাগাতার আক্রমণে নাজেহাল হয়ে যায় বাগান রক্ষণ। একাধিকবার গোল করার মত পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল ক্লেইটন-নন্দকুমাররা। কিন্তু গোলের মুখ খোলেনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে লিড বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিয়ানের গতি ও ড্রিবলিংয়ের কাছে পরাস্ত হয়ে পড়ে যান হিজাজি। সেই সময় কিয়ানের শট হিজাজির হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় বাগান। পেনাল্টি থেকে পেত্রাতোস প্রথমে গোল করলেও তা ফল্টের কারণে বাতিল করেন রেফারি। রিটেকে বল বারে মারেন পেত্রাতোস। প্রথমার্ধের শেষে খেলার ফল ১-১।