কলকাতায় মাঝরাতে নেমেই বুঝতে পেরেছিলাম এখানে ফুটবল নিয়ে আবেগে আছে। ডুরান্ড কাপের প্রথম ডার্বি আমরা হেরে গেলাম। তারপর থেকে তিনটে ম্যাচ জিতেছি। বৃহস্পতিবার সামনে গোয়া। সেমিফাইনাল বলে কথা। ওরা খুব শক্তিশালী দল। কিন্তু মোহনবাগান দেশের সেরা দল। এটা আমরা প্রমাণ করবই। দলের মধ্যে কম্বিনেশন এবং বোঝাপড়া এখন ৬০ শতাংশ।
আরও ২০ শতাংশ বাড়াতে পারলেই আমাদের আসল শক্তি দেখতে পাবেন। আমি গোল পেতে শুরু করেছি। এটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। কিন্তু আমি এর থেকেও ভাল খেলার ক্ষমতা রাখি। আশা করছি প্রত্যেক ম্যাচে এবার আমার উন্নতি দেখতে পাবেন। জানি অনেকেই চাইছেন ডুরান্ড কাপ ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হোক। আমাদের নজর প্রথমেই গোয়া ম্যাচ।
advertisement
সেটা জিতলে তবে অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করব। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যদি মোহনবাগান ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তাহলে এএফসি কাপ এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু হওয়ার আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও খানিকটা বেড়ে যাবে। দলের প্রত্যেকে এখন শুধু সেমিফাইনালের দিকে নজর দিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলে এসে বুঝতে পারছি এখানকার ফুটবল মান যথেষ্ট উন্নত।
ভারতীয় ফুটবলাররা সবাই লড়াকু। আমার সঙ্গে দিমিত্রি এবং সাদিকু জমে গেলে সমর্থকরা অনেক গোল দেখতে পাবেন। কিন্তু পাশাপাশি আমাদের ডিফেন্সকেও ভাল খেলতে হবে। কোচ আমাদের একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবার কথা বলেছেন। তাই আমাদের সামনে এখন শুধুমাত্র একটাই ফোকাস। গোয়াকে হারাতেই হবে।