ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দল। গোলের মুখ খোলার জন্য বেশি সময় প্রতীক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। তিন মিনিটের মাথায় মনবীরের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। কর্নার থেকে পেত্রাতসের ভাসানো বল হেডে ওড়িশা এফসির জালে জড়িয়ে দেন মনবীর। যদিও লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান।
গোল খাওয়ার পরে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে ওড়িশা এফসি। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে বাগানের ডিফেন্সে। ১১ মিনিটের মাথায় ডেলগাডোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি। ১০ মিনিটের মাথায় ওড়িশার একটি দুরন্ত আক্রমণ প্রতিহত করে মোহনবাগান। গোললাইন সেভ হয় সেক্ষেত্রে। তবে ঠিক পরক্ষণেই জাহউয়ের পাস থেকে গোল করেন ডেলগাডো।
advertisement
ম্যাচে সমতা ফেরার পর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে কাজের কাজটা করে যান রয় কৃষ্ণা। মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল হেডে রিসিভ করেন রয় কৃষ্ণা। তিনি দৌড়ে গিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকেই বাগান গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। পায়ের আলতো টাচে বিশালের পাশ দিয়ে বল বাগানের জালে জড়িয়ে দেন। এরপর আর কোনও দল গোল করতে পারেনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ওড়িশা এফসি।