১. ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫, ইস্টবেঙ্গল ৫-মোহনবাগান ০: ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বির ইতিহাসে সেরা ম্যাচের কথা বলতে গেলে ১৯৭৫-এর ৩০ সেপ্টেম্বর লাল-হলুদের শিল্ড জয়ের কথা বলতেই হবে। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়কালে ইস্টবেঙ্গল সমস্ত ভারতীয় ট্রফি সহ ৬ বার কলকাতা লিগ ও এই মহা ম্যাচ জয় করে শিল্ড পেয়েছিল। মোহনবাগানকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে শ্যাম থাপা ২টি ও রঞ্জিত মুখার্জি, সুরজিৎ সেনগুপ্ত এবং শুভঙ্কর সান্যাল একটি করে গোল করেছিলেন। এই হারের ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে মোহনবাগান সমর্থক উমাকান্ত পালধি আত্মহত্যা করেছিলেন।
advertisement
২. ১৩ জুলাই ১৯৯৭, ইস্টবেঙ্গল ৪- মোহনবাগান ১: ১৯৯৭ সালের ১৩ জুলাই ফেডারেশন কাপের সেমি ফাইনাল ডার্বির ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেদিন যুবভারতী দর্শক সংখ্যার নিরিখে রেকর্ড তৈরি করেছিল। ১ লক্ষ ৩১ হাজারের বেশি দর্শক সেদিন বাঙাল-ঘটির চিরন্তন লড়াই দেখতে উপস্থিত ছিলেন। তৎকালীন মোহনবাগান কোচ অমল দত্তের ডায়মন্ড সিস্টেমকে ধুলিস্মাৎ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ৪-১ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন নাজিমুল হক, এরপর বাইচুংয়ের হ্যাট্রিক সহ মোট চার গোল, অপরদিকে মোহনবাগানের হয়ে গোলটি করেছিলেন চিমা ওকেরি।
৩. ২০০৭,মোহনবাগান ৪-ইস্টবেঙ্গল ৩: ২০০৭ সালে কলকাতা ডার্বির সেরা ইউএসপি ছিল সবুজ-মেরুণের সুব্রত ভট্টাচার্য সেই সময় ছিলেন লাল-হলুদ কোচ। ডার্বির ইতিহাসে অন্যতম সেরা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ উপহার পেয়েছিল ফুটবল প্রেমিরা। ম্যাচের ফল মোহন বাগান ৪, ইস্টবেঙ্গল ৩। ম্যাচের প্রথমার্ধের লালম পুইয়া, ব্যারেটো ও ভেঙ্কটেশের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পাল তোলা নৌকা। মোহন সমর্থকরা ১৯৭৫-এর ৫-০ হারের বদলা নেওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র নয় সুব্রত ভট্টাচার্যও। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে কামব্যাক করে ইস্টবেঙ্গল। আলভিটো দুটি ও এডনিলসন একটি গোল করেন। কিন্তু ভেঙ্কটেশ নিজের দ্বিতীয় গোল করে মোহনবাগানকে জয় এনে দেন।
৪. ২৫ অক্টোবর ২০০৯, মোহনবাগান ৫- ইস্টবেঙ্গল ৩: এই ম্যাচকে মোহনবাগান সমর্থকরা য ১৯৭৫-এ হারের প্রতিশোধ হিসেবে দেখেন। এই ঐতিহাসিক ম্যাচে অসাধারণ খেলেছিলেন সেই সময় সবুজ-মেরুণের নাইজেরিয় ফুটবলার চিডি এডে। চিডির চার গোল সহ মনীশ মৈথানী একটি গোল করেন মোহনবাগানের হয়ে। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল ইয়াকুবু ২টি এবং নির্মল ছেত্রী একটি। ৫-০ নাহলেও, ৫-৩ ব্যবধানে জেতে মোহনবাগান। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই যে, ১৯৭৫ এর সেই বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের অন্যতম অংশীদার সুভাষ ভৌমিক এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ডার্বিতে সিলভার হ্যাটট্রিক দেখছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ! মুচকি হেসে জবাব মোহন অধিনায়কের
৫. ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ইস্টবেঙ্গল ৪ – মোহনবাগান ০: সাম্প্রতিক কালে এই ম্যাচটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানে ডার্বি জয়। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দু’গোল করেছিলেন কোরিয়ান ফুটবলার ডু ডং হিউন। ফ্রি কিক থেকে দুটি চমৎকার গোল সমর্থকদেরকে উপহার দিয়েছিলেন তিনি। যা দেখে অনেকেই মেসির ফ্রি কিকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এছাড়াও অপর দুটি গোল করেছিলেন রাহুল ভেকে ও রফিক।