মুম্বই সিটি এফসি ১ ( ম্যাতিয়াস ডিফেড্রিকো- ৬৮')
#পুণে: ফুটবলে বল-পজেশন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখাই শেষ কথা নয়। সেটা ফুটবলাররা কতটা কাজে লাগাতে পারলেন সেটাই আসল ৷ তাই প্রথমার্ধে প্রায় ৭৩ শতাংশ বলের দখল রেখেও গোল করতে ব্যর্থ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের এফসি পুণে সিটি।যার মাসুল গুনতে হল ম্যাচ-শেষে।মহারাষ্ট্র ডার্বিতে হার হজম করতে হল হৃত্বিক রোশনের দলকে ৷
advertisement
হাবাসদের বিপক্ষ দলে আবার এমন একজন ফুটবলার ছিলেন , যিনি বছর ছয় আগে তাঁর দলকে চতুর্থ করেছিলেন বিশ্বকাপে। তার পরের বছর কোপা আমেরিকা জেতাতেও নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি দিয়েগো ফোরলান ৷ মাঠে নেমেই নিজের জাত চেনালেন এদিন ৷
মুম্বইয়ের মার্কি দিয়েগো ফোরলানের মাপের ফুটবলার কমই এসেছেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। স্পেনে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় মাদ্রিদ ‘ডার্বি’-তে খেলেছিলেন। এবার খেললেন মহারাষ্ট্রের ‘বড়’ ম্যাচে। আর, শুরুতেই মুম্বইকে দেখিয়ে দিলেন জয়ের রাস্তা। তাঁর ডান পায়ের ছোট টোকায় বল পেয়ে আর্জেন্টিনীয় ম্যাতিয়াস আদ্রিয়ান ডিফেড্রিকো গোল করতে আর কোনও ভুল করেননি। এই দক্ষিণ আমেরিকান যোগাযোগে ম্যাচের একমাত্র গোল, যা তিন পয়েন্ট এনে দিল মুম্বইকে। ম্যাচের নায়কের সম্মানও পেলেন গোলদাতা ডিফেড্রিকোই।
দুই দলই যে খুব ভাল খেলেছে, এমন নয়। মোট ২৪ টি ফাউল হল ম্যাচে। মাঝেমাঝে লম্বা বলে বিপক্ষ ডিফেন্সকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা। দু-পাশ থেকে দু’দলই ক্রস তুলছিল, বিশেষ করে নারায়ণ দাস ও সেনা রালতে। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি, বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা সজাগ থাকায়। ট্যাকটিক্যাল ম্যাচ বলাই ভাল, যেখানে দু’দলই জায়গা দিতে চায়নি বিপক্ষকে, নিজেদের গোলমুখে। গোলের জন্য দূরপাল্লার শটই বেশি মেরেছেন দু’দলেরই স্ট্রাইকাররা ৷
৮৮ মিনিটে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করেছিল পুনে। বক্সের মধ্যে নিচু হয়ে আসা বলে হেড করতে গিয়ে নিচু হয়ে প্রায় বসে পড়েছিলেন সেনা রালতে। কিন্তু বল তাঁর সামনে ড্রপ খেয়ে হাতে লেগেছিল, নিশ্চিত। প্রথমার্ধে ফ্রি কিকের ওয়ালে দাঁড়িয়ে মুখ ঢাকতে গিয়ে ফাব্রিসিও সোয়ারেসের কনুইতে বল লেগেছিল, হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ঘরের মাঠে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পুণের পক্ষে গেলে ম্যাচের ফল অন্যরক হতেই পারত।
মুম্বই গত তিন বছরে মোট ১৭ টি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে এটা দ্বিতীয় জয় পেল ৷ এই জয় নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে মুম্বইয়ের ৷ হাবাস চার ম্যাচ নির্বাসিত, তাই এদিন থাকতে পারেননি বেঞ্চে। পরের তিনটি ম্যাচে থাকতে পারবেন না তিনি।