অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা: ১ ( সেরেনো-৪৪' )
টাইব্রেকারে ৩-৪ গোলে জয়ী অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা
দ্বিতীয়বার আইএসএল ট্রফি ঘরে উঠল অ্যাটলেটিকো দা কলকাতার । নির্ধারিত সময়, তারপর অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ অমীমাংসিত থাকার পর খেলার ফয়সালা হল টাইব্রেকারে ৷ সেখানে ৩-৪ গোলে বাজিমাত টিম এটিকে-র !
advertisement
টাইব্রেকারের ফলাফল:
কেরালা ব্লাস্টার্স : জার্মান (গোল), বেলফোর্ট (গোল), ডোয়ে (মিস), রফিক (গোল), হেংবার্ট (সেভ)
অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা: হিউম (সেভ), দ্যুতি (গোল), বোরহা (গোল), লারা (গোল), জুয়েল (গোল)
খেলা টাইব্রেকারে গড়ানো মানেই তখন লড়াইটা গিয়ে দাঁড়ায় দু’দলের গোলকিপারের মধ্যে ৷ আজ শ্যুট আউটের শুরুতেই পেনাল্টি মিস করেন হিউম ৷ দলের অন্যতম সেরা তারকার পেনাল্টি মিস স্বভাবতই কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছিল কলকাতাকে ৷ তবে এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি কেরালার ৷ পেনাল্টি মিস করেন ডোয়ে ৷ বল সোজা বার পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায় ৷ এরপর হেংবার্টের সোজাসুজি মারা বল এটিকে গোলরক্ষক দেবজিতের পায়ে লেগে যায় ৷ কলকাতার হয়ে টাইব্রেকারে শেষ শটটি মারার সময় কোনও ভুল করেননি জুয়েল রাজা ৷ তাঁর শট কেরালার গোলরক্ষককে পরাস্ত করতেই মূহূর্তের মধ্যে গোটা স্টেডিয়ামে যেন শশ্মানের নিস্তবদ্ধতা ! আরও একবার ফাইনালে উঠে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল হলুদ জার্সিদের ৷
খেলা শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পায় কেরালা ব্লাস্টার্স। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি কেরলের সিকে বিনিথ। পরপর বেশ কয়েকটা সুযোগ আসছিল কেরলের কাছে। ইতিমধ্যেই ধাক্কা এটিকে শিবিরে। ২৫ মিনিটের মাথায় রেফারির হলুদ কার্ড দেখান বোরহা ফার্নান্দেজকে। ৩৮ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল আসে কেরালার ঘরে। মেহতাব হোসেনের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন রফি। ৬ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় এটিকে ৷
ম্যাচের পুরস্কার:
চ্যাম্পিয়ন : অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা
ফিটেস্ট প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ: কার্ভেনস বেলফর্ট
উইনিং পাস অফ দ্য ম্যাচ: ডাকেনস নাজন
মোমেন্ট অফ দ্য ম্যাচ: দেবজিৎ মজুমদার
আইএসএল এমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ: লালরিন্ডিকা রালতে
হিরো অফ দ্য ম্যাচ: হেনরিকে সেরেনো ফনসেকা