তাঁর এই মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে যখন অস্ট্রেলিয়া রেকর্ড ১১ দিনের মধ্যে অ্যাশেজ জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর ‘বাজবল’ কৌশল সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
পানেসার বলেছেন, ইংল্যান্ডের শাস্ত্রীর মতো একজন কোচের প্রয়োজন, যিনি অস্ট্রেলিয়াকে ওদের নিজেদের মাটিতে হারাতে জানে। প্রাক্তন ভারতীয় কোচের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল শুধু ২০১৮-১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবার সিরিজ জেতেনি, বরং ২০২০-২১ সালেও সেই সাফল্য পুনরাবৃত্তি করেছে। চলতি অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ও বোলারদের পারফরম্যান্স দুর্বল হয়েছে, ফলে অস্ট্রেলিয়া পার্থ, ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে।
advertisement
মন্টি পানেসার বলেছেন, আপনাকে ভাবতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর সঠিক উপায় কার জানা আছে? কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার মানসিক, শারীরিক ও কৌশলগত দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগানো যায়? আমার মনে হয়, রবি শাস্ত্রীরই ইংল্যান্ডের পরবর্তী কোচ হওয়া উচিত।
এদিকে, বক্সিং ডে (২৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে চলা চতুর্থ অ্যাশেজ টেস্টের জন্য ইংল্যান্ড তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে কিছু পরিবর্তন করেছে। জোফ্রা আর্চার সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো থেকে ছিটকে গেছেন এবং তাঁর জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে গাস অ্যাটকিনসনকে। অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেল দলে আসছেন অলি পোপের পরিবর্তে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে অ্যাশেজ সিরিজে পরাজয়ের পরও ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম নিজের পদে থাকতে চান। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কোচ হিসেবে তাঁর ভবিষ্যৎ আর পুরোপুরি তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রথম তিনটি টেস্টের মধ্যেই ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ হারিয়ে ফেলে। এবার যার পর ম্যাককালামের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের সঙ্গে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) চুক্তি রয়েছে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন- বিজয় হাজারেতে নেমেই রেকর্ড কোহলির, ভাগ বসালেন সচিনের আরও একটি নজিরে
প্রথমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে টেস্ট দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, পরে চলতি বছরের শুরুতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্যও তাঁকে ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ করা হয়। ইংল্যান্ড টানা ১৮টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একটি টেস্ট ম্যাচও জিততে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ায় তাদের শেষ সিরিজ জয় ছিল ২০১০–১১ সালে।
