টেস্টে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করা বিশ্বের একমাত্র বোলার পাঠান। প্রথম বলে সালমান বাটকে ফিরিয়ে দেন বরদার এই বাঁহাতি পেসার। আউটস্যুইংয়ের কোনও কূলকিনারা পাননি বাট। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সেটি ছিল ওভারের চতুর্থ বল। পঞ্চম বলে ব্যাট করতে আসেন ইউনিস খান।
advertisement
পাঠানের ইনস্যুইং এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে তা সামলাতেই পারেননি ইউনিস। বল প্যাডে লাগে। আর ইউনিসের পা স্ট্যাম্পের সামনে পড়ে যায়। ওভারের শেষ বলে পাঠানের শিকার হন সেই সময়ের সেরা পাক ব্যাটসম্যান ইউসুফ ইউহানা (পরবর্তীতে মহম্মদ ইউসুফ হয়েছিলেন)। ইংস্যুইংয়ের কিনারা না পেয়ে বোল্ড হয়ে যান তারকা পাক ব্যাটার।
হরভজন সিংহের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেন পাঠান। তবে তার থেকেও বড় কথা প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদের বক্তব্যের যোগ্য জবাবও দিয়ে দেন পাকিস্তানের মাটিতেই হ্যাটট্রিক করে। ২০০৪ সালে পাঠান যখন প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সিতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন, তখন মিয়াঁদাদ তাঁকে দেখে মন্তব্য করেছিলেন, এরকম বোলার পাকিস্তানের গলিতে গলিতে জন্মায়।
সেই সময় কথাটি শুনে খুব খারাপ লেগেছিল পাঠানের বাবারও। তিনি নাকি পাকিস্তানেও উড়ে গিয়েছিলেন মিয়াঁদাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে। নিজের মধ্যেই হয়ত জেদ চেপে রেখেছিলেন পাঠান। তাই ২ বছর বাদে মিয়াঁদাদের দেশে গিয়ে তাঁরই দেশের বিরুদ্ধে ইতিহাস গড়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে ওস্তাদের মার শেষ রাতে।