আসলে সেই সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিন দশক ধরে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, এবং ইরানের ফুটবলারদের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি ম্যাচের আগে করমর্দনের সময় তাদের আমেরিকান প্রতিপক্ষের দিকে না হাঁটার নির্দেশও দিয়েছিলেন। আজ সে সব অতীত ঠিক কথা, কিন্তু ইরান বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানে শুধু ফুটবল ম্যাচের মধ্যে লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে এমন নয়।
advertisement
ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচে পর্যদুস্ত হওয়ার পর ওয়েলসের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইরান। মঙ্গলবার আল থুমানা স্টেডিয়ামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি ইরান। এই ম্যাচ জিতলেই প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত আজমউনদের।
অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে ওয়েলসের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে শেষ ষোলোয় যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে তাদের। ইংল্যান্ডের কাছে ৬-২ গোলে হারার পর, রুজবে চেসমি ও রামিন রেজাইয়ানের দ্বিতীয়ার্ধের গোলে ওয়েলসকে হারায় ইরান।
ওয়েলসের বিরুদ্ধে তারকা স্ট্রাইকার সর্দার আজমউনের উপস্থিতি দলের আক্রমণভাগকে অনেক শক্তিশালী করেছে। মেহেদি তারেমির সঙ্গে জুটি বেঁধে ওয়েলস রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন আজমউন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচেও কোচ কার্লোস কুইরোজ তেমনই চাইছেন। এশিয়ার অন্য দল জাপান ও সৌদি আরব ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে অঘটন ঘটিয়েছে।
পরপর দুটি ম্যাচ ড্র করলেও একঝাঁক প্রতিশ্রুতিমান তরুণ ফুটবলারদের উপস্থিতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার সকলের নজর কেড়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ সময়েই তাদের ধারালো আক্রমণ, ফুটবল দক্ষতা সাউথগেটের ছেলেদেরকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। ফিনিশিং এর অভাবেই তাদের ভুগতে হয়েছে।
পরপর দুটি ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখার জন্য মাঝমাঠে আলিরেজা জাহানবাক্সকে পাচ্ছে না ইরান। সর্দার আজমউনের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, তার মত মানের ফুটবলারকে মঙ্গলবার প্রথম থেকেই খেলাতে চান কুইরোজ। কনকাশনের জন্য ওয়েলস ম্যাচে খেলতে না পারা আলিরেজা বেইরানভান্ড দুই পোস্টের মাঝে ফিরতে পারেন।
মার্কিন দলে চোট আঘাতের কোনো সমস্যা নেই। আক্রমণকারী মাঝমাঠের ফুটবলার জিওভানি রেইনাকে কোচ বেরহালটার প্রথম থেকেই খেলান কিনা সেদিকে নজর থাকবে। মাঝমাঠে এডামস, মেকেনি ও ইউনুস মুসা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন। ইরানের বিরুদ্ধেও তাদের উপর ভরসা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ওয়েলসের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে নতুন ছন্দ পেয়েছে ইরান। অন্যদিকে, ফর্মে থাকা ইংল্যান্ডকে খাঁচাবন্দী করে তাদেরও জাত চিনিয়েছে তরুণ মার্কিনরা। এই ম্যাচের ফলাফল অনুমান করা অসম্ভব বলেই মনে করছে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।