মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন শুভমান গিল। এই ম্যাচে গুজরাত একাদশে একটিই মাত্র পরিবর্তন ছিল। ওয়াশিংটন সুন্দরের জায়গায় আরশাদ খান সুযোগ পেয়েছেন। দুরন্ত বোলিংয়ে ভর দিয়ে গুজরাত মুম্বইকে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানে আটকে রাখে। বৃষ্টির কারণে যখন ১৪তম ওভারে খেলা বন্ধ ছিল, তখন গুজরাতের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১০৭ রান।
advertisement
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নির্ধারিত লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে, গুজরাট দলকে তার প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেয় ট্রেন্ট বোল্ট। ৫ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার পর ইন-ফর্ম ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শন আউট হন। বৃষ্টির সম্ভাবনার মধ্যে খেলা চলাকালীন ৫ ওভারের খেলা শেষ হয়েছিল। এখন ম্যাচ বন্ধ থাকলেও পয়েন্ট বণ্টন হবে না। জস বাটলার অধিনায়ক গিলের সঙ্গে স্কোর ৭৮ রানে পৌঁছে দেন। অশ্বিনী কুমার ৩০ রানে বাটলারকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে বড় উইকেট নেন।
বৃষ্টির কারণে ১৪তম ওভারের পর কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ রাখতে হয়। ম্যাচ শুরুর প্রথম ওভারেই জসপ্রীত বুমরাহ ৪৩ রানে ব্যাট করা গুজরাত অধিনায়ক শুভমান গিলকে ক্লিন বোল্ড করেন। এরপর অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট এসে শেরফেন রাদারফোর্ডকে ২৮ রানে এলবিডব্লিউ ফেরত পাঠান। বুমরাহ তাঁর শেষ ওভারে শাহরুখ খানকে ক্লিন বোল্ড করে ম্যাচের রাশটা নিজেদের হাতে ধরেন৷
দ্বিতীয় বলেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলকে এক ধাক্কা দেন মহাম্মদ সিরাজ। ২ রান করে সাই সুদর্শনের বলে ক্যাচ দেন রায়ান রিকেলটন। প্রথম উইকেট পতনের পর ইনিংসে আসা উইল জ্যাকস এক ওভারে ১৫ রান করে সিরাজের সাফল্যের উচ্ছ্বাস কেড়ে নেন। সিরাজ তার দ্বিতীয় ওভারে একটি ছক্কা এবং দুটি চার মারেন। আজকের ম্যাচে প্লেয়িং ইলেভেনে অন্তর্ভুক্ত আরশাদ মাত্র ৭ রানে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের হাতে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতি টিকিট দেন। ২৯ বলে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে জ্যাক তার পঞ্চাশটি পূর্ণ করেন।
২৪ বলে ৫টি চার মেরে ৩৫ রান করার পর খেলতে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে শাহরুখ খানের জায়গায় ক্যাচ দিয়ে দলকে বড় সাফল্য এনে দেন সাই কিশোর। এর কিছুক্ষণ পরেই, পঞ্চাশ রান করা উইল জ্যাকস ৫৩ রান করে রশিদ খানের বলে বাউন্ডারিতে সাই কিশোরের হাতে ক্যাচ আউট হন। এরপর দলটি অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার উইকেট হারায় এবং তারপর তিলক ভার্মাও আউট হন। পরপর চারটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের বড় স্কোরের আশা ভেঙে যায়।
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে একাধিকবার বৃষ্টি হয় গুজরাতের ব্যাটিং ইনিংসে৷ এদিন ১৯ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৪৭ রান করে গুজরাত৷ যা তাদের ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল৷ এদিন জিতে বেঙ্গালুরু ছাড়াও আরও একটি দল প্লে অফে পৌঁছে গেল৷ ফলে আর মাত্র ২ টি প্লে অফের জায়গার জন্য দৌড় অব্যহত রইল বাকি দলগুলির এমনকি কেকেআরেরও৷