শেলডন কর্টরেল
২০২০ আইপিএল নিলামে কর্টরেলকে দলে নিয়েছিল পঞ্জাব। সাড়ে আট কোটি টাকার এই বোলার ম্যাচি ছয়টি ম্যাচ খেলে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৮.৮। খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে দলে নিজের জায়গা এর পর হারিয়েছিলেন শেলডন। ২০২১ আইপিএল-এ আলসোল্ড ছিলেন তিনি। এই বারের আইপিএল নিলামেও রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার।
advertisement
পবন নেগি
চেন্নাই সুপার কিংস-এর জার্সিতে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে ২০১৬-এর নিলামে জ্যাকপট মারেন পবন নেগী। এই অলরাউন্ডারের পিছনে সাড়ে আট কোটি টাকা খরচ করে দিল্লির ফ্রাঞ্চাইজি। কিন্তু ওই মরসুমে যেই আট ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন একটিতেও পারফর্ম করতে পারেননি। ব্যাটিং এবং বোলিং-উভয়তেই ব্যর্থ হন। ৯.৩৩ ইকোনমি রেটে এক উইকেট সংগ্রহ করেন নেগি। আসন্ন আইপিএল-এর নিলামে রয়েছেন নেগী।
দীনেশ কার্তিক
২০১৫ আইপিএল-এর নিলামে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে দলে নিতে ১০:২৫ কোটি টাকা খরচ করেছিল আরসিবি। বিরাট কোহলির দলের হয়ে উইকেটের পিছনে ভাল পারফর্ম করলেও ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে পারেননি দীনেশ। ১৬ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৪১ ইনিংস।
গ্লেন মাক্সওয়েল
২০২০ আইপিএল-এর নিলামে ১০.৭৫ কোটি টাকায় প্রীতি জিন্টার দলে সই করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। আইপিএল-এ একেবারেই ছন্দে ছিলেন না বিধ্বংসী ম্যাক্সি। ১০১.৮৯ স্ট্রাইক রেটে ১৩ ম্যাচে ১০৮ রান করেছিলেন তিনি। গোটা মরসুমে একটাও ওভার বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি। পরের নিলামে তাঁকে মোটা অঙ্কে তুলে নেয় আরসিবি এবং গার্ডেন সিটির দলটির হয়ে নিজের উপার্জিত অর্থের প্রচতি সুবিচার করেন ম্যাক্সওয়েল।
টাইমাল মিলস
২০১৭ আইপিএল-এর নিলামে সাড়ে ১২ কোটি টাকা খরচ করে আইসিবি দলে নিয়েছিল ইংল্যান্ডের এই বাম হাতি পেসারকে। ৮.৫৭ ইকোনমি রেটে ৫ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মিলস। কারি কারি টাকায় কিনলেও তাঁর পারফরম্যান্স ভাল না হওয়ায় ২০১৮ আইপিএল-এর নিলামে দল পাননি মিলস। সদ্যই ক্রিকেটের শট ফরম্যাটে ফিরেছেন মিলস। এই বার নিলামেও রয়েছেন তিনি।
ক্রিস মরিস
১৬.২৫ কোটি টাকায় ২০২১ আইপিএল-এর নিলামে মরিসকে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু টাকার মূল্যায়ণ করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার। ১১ ম্যাচে করেন মাত্র ৬৭ রান এবং বল হাতে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন। খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে লাগাতার বাদ পড়ার পর ২০২২-এর শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার।