ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এলএসজির হয়ে ওপেনিং জুটিতে দুরন্ত শুরু করেন মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্করাম। বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াটিং করে ১০ ওভারের মধ্যেই ১০০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ফেলেন দুজন। ১১৫ রানে প্রথম উইকেট পড়ে এলএসজির।৩৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মার্শ। প্রথম ডাউন নেমে নিরাশ করেন ঋষভ পন্থ। মাত্র ৭ রান করে আউট হন তিনি।
advertisement
এরপর মার্করামের সঙ্গ ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান নিকোলাস পুরান। ১৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ৩৮ বলে ৬১ রান করে আউট হন মার্করাম। এরপর একদিক থেকে উইকেট পড়লেও কার্যত একাই দলকে টানেন নিকোলাস পুরান। ২৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোর ২০০-র দোরগোড়ায় পৌছে দেন তিনি। মার্শ, মার্করাম, পূরান ছাড়া কোনো এলএসজি ব্যাটার জোড়া সংখ্যায় রান করতে পারননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে লখনউ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি সানরাইজার্সের। ট্রেভিস হেড কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় খেলতে পারেননি। অভিষেক শর্মার সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন অথর্ব তাইদে। ১৩ রান করে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় উইকটে ৮২ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ করেন অভিষেক ও ইশান কিশান। এলএসজির বোলারজদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন অভিষেক শর্মা। মাত্র ২০ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি ছয় ও ৪টি চারে সাজানো তাঁর ইনিংস।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআর থেকে বাদ ৫ মহাতারকা! এবার আইপিএল থেকে শিক্ষা! ২০২৬-এ বড় বদল নাইটদের!
অভিষেক শর্মা আউট হওয়ার পর ইশান কিশান ও হেনরিক ক্লাসেন এগিয়ে নিয়ে যায় দলের স্কোরবোর্ড। ৪১ রান জুটিতে যোগ করেন তারা। ইশান কিশান আউট হন ৩৫ রান করে। এরপর দলকে জয়ের দোরগোড়া পর্যন্ত নিয়ে যান ক্লাসেন ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুজনেই ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। ক্লাসেন ২৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হন। ৩২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন কামিন্দু। ততক্ষণে দলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। অঙ্কিত বর্মা ও নীতিশ কুমার রেড্ডি ১৮.২ ওভারে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন।