জানা গিয়েছে, গতকাল কলকাতা ও দিল্লির খেলায় ১১ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে ৩৯ টাকা দিয়ে ড্রিম ইলেভেনে টিম বানান মহম্মদ মাজারুল ইসলাম। এর পর খেলা শেষে তিনি দেখতে পান তাঁর দলের প্রতিটি খেলোয়াড় ভাল খেলেছেন। তাঁর টিম প্রথম স্থান অধিকার করে। কিছুক্ষণ পর তার ড্রিম ইলেভেনে প্রথম পুরস্কারের চার কোটি টাকা জমা হয়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- দিল্লি জয়ের পরই বড় ঘোষণা করে দিলেন রাহানে! কী জানালেন কেকেআর অধিনায়ক?
বুধবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে গোয়ালপোখর থানায় উপস্থিত হন তিনি। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত সহযোগিতা করা হয়। তাঁকে বেশ কিছুদিন থানায় থাকার জন্য বলা হয়।
গোয়ালপোখর থানার গোয়াগাঁও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গেদরীগাঁও ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক। তাঁর বাবা কৃষক। মধ্যবিত্ত পরিবার। দাদারা কেউ পড়াশোনা না করলেও বাড়ির সবার সহযোগিতায় পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় কাজ করেন। গত ১ বছর ধরে ড্রিম ইলেভেন খেলেন। এই টাকা দিয়ে আগে বাবা মা-র স্বপ্ন পুরণ করবেন বলে জানান। নিজের ব্যবসা বড় করবেন বলে জানান মহম্মদ মাজারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন- আইপিএলে বোলার রোহিতের রয়েছে এমন রেকর্ড, যা কোনও ভারতীয়র নেই! জন্মদিনে জানুন সেই অজানা নজির
নিজে পুরস্কার জিতলেও যুব সমাজকে এই খেলার নেশায় মেতে না ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন সেই যুবক। এই খেলায় আর্থিক ঝুঁকি রয়েছে, সেটাও জানিয়ে দেন তিনি।
-চঞ্চল মোদক