ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সিএসকে। শুরুতেই ৪ রানে যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট নেন খালিল আহমেদ। কিন্তু এরপর দ্বিতীয় উইতেটে নীতিশ রানা ও সঞ্জু স্যামসন গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। ৮২ রানে ঝোড়ো পার্টনারশিপ করেন তারা। বিশেষ করে এদিন নীতিশ রানা বিধ্বংসী ফর্মে ব্যাটিং করেন। ৮৬ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। সঞ্জু স্যামসন ২০ রান করে আউট হলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি করেন রানা।
advertisement
সঞ্জু আউট হওয়ার পর রানার সঙ্গে ইনিংস এগিয় নিয়ে যান রিয়ান পরাগ। ৪০ রান জুটিতে যোগ করেন তারা। এরপর নীতিশ রানা ব্যক্তিগত ৮১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। এরপর রিয়ান পরাগ একদিক থেকে থাকলেও অপরদিকে ধ্রুব জুরেল, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গারা রান পাননি। রিয়ান পরাগ নিজে ৩৭ রান করে আউট হন। শেষের দিকে পরপর উইকেট হারানোয় আর বেশি রান করতে পারেনি রয়্যালসরা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেয় হারাতে থাকে সিএসকে। রাচিন রবীন্দ্র শূন্য, রাহুল ত্রিপাঠী ২৩, শিবম দুবে ১৮, বিজয় শঙ্কর ৯ রান করে আউট হন। একদিক থেকে যখন একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল চেন্নাই, তখন অপরদিকে একা লড়াই চালিয়ে যান চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৬৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে চেন্নাইকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন রুতুরাজ।
আরও পড়ুনঃ KKR vs MI: জয়ে ফিরেও মুম্বই ম্যাচে বাদ কেকেআর তারকা! চিন্তা কমছে না নাইট শিবিরের? জানুন বিস্তারিত
শেষের দিকে যাবতীয় ভরসা ছিল ধোনি ও জাদেজা জুটির দিকে। ধোনি এদিন নিজেকে অনেকটা উপরের দিকে নিয়ে আসেন ব্যাটিংয়ে। ৩৫ রানের পার্টনারশিপ করে আশাও জাগিয়েছিলেন সিএসকের ফ্যানেদের। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪০ রান। কিন্তু ধোনি ১৬ রানের আউট হতেই সব আশা শেষ হয়ে যায়। জাদেজা ৩২ ও জেইমি ওভারটম ১১ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ করে সিএসকে।