ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন কেকেআরের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। ৪ ওভারের মধ্যেই ৬০ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন নারিন ও সল্ট। ১৪ বলে ৩২ করে আউট হন সল্ট। অপরদিকে, নিজের মারকাটারি ব্যাটিং চালিয়ে যান নারিন। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন সুনীল নারিন। আংক্রিশ রঘুবংশীর সঙ্গে জুটি বেঁঘে ৮০ রানের পার্টনারশিপ করেন।
advertisement
১৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে কেকেআরের। ৩৯ বলে ৮১ রান করে আউট হন সুনীল নারিন। একটা সময় মনে হয়েছিল কেকেআরের স্কোর ২৫০ পার হয়ে যাবে। কিন্তু নারিন আউট হওয়ার পর আন্দ্রে রাসেল ১২, রঘুবংশী ৩২, রিঙ্কু সিং ১৬ রান করে পরপর আউট হন। শেষের দিকে শ্রেয়স আইয়ার ও রমনদীপ সিং মারকাটারি ব্যাটিং করেন। শ্রেয়স আইয়ার ২৩ করে আউট হন। অপরদিকে, ৬ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রমনদীপ সিং। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করে কেকেআর।
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দ্বিতীয় উইকেটে কেএল রাহুল ও মার্কাস স্টয়নিসের ৫০ রানের পার্টনারশিপ ছাড়া সেভাবে কোনও পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। স্টয়নিসের ৩৬ ও রাহুলের ২৫ রান ছাড়া কোনও এলএসজি ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৬.১ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় লখনউ।
সাজা কাটিয়ে দলে ফিরেই অনবদ্য বোলিং করেন হর্ষিত রানা। ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাডা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের ফর্ম ধরে রাখেন বরুণ চক্রবর্তী। তিনিও ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ২টি এবং একটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও সুনীল নারিন। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ৮ জয় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল কেকেআর। একইসঙ্গে প্লে অফ কার্যত পাকা হয়ে গেল নাইটদের।