ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে শিখর ধওয়ানের দল। পঞ্জাবের হয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন স্যাম কুরান। এছাড়া ৪৪ রান করেন জিতেশ শর্মা ও ৪১ রান করেন শাহরুখ খান। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় রাজস্থান। রাজস্থানেপ ৫১ রান করেন দেবদূত পাড়িকল, ৫০ করেন যশস্বী জয়সওয়াল, ৪৬ রান করেন শিমরন হেটমায়ার।
advertisement
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পঞ্জাব কিংসের। প্রথম থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শিখর ধওয়ানের দল। ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট পড়ে যায় পঞ্জাবের। তারপর ম্যাচের রাশ ধরেন স্যান কুরান ও জিতশ শর্মা। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন দুজনে। ৫০ রানের পার্টনারশিপ করেন লিভিংস্টোন ও জিতেশ। দলের ১১৪ রানের মাথায় বিগ হিট করতে গিয়ে আউট হন জিতেশ শর্মা। ২৮ বলে ৪৪ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর স্যাম কুরানকে সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। স্যাম কুরান ধীরে ধীরে রানের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আক্রমণাত্মক রুপ ধারণ করেম শাহরুখও। দুজন মিলে একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। শেষ দুই ওভারে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন স্যাম কুরান ও শাহরুখ খান। আসে ৪৬ রান। ৭৩ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮৭ রান করে পঞ্জাব। ৩১ বলে ৪৯ করে স্যাম কুরান ও ২৩ বলে ৪১ রান করে শাহরুখ খান অপরাজিত থাকেন।
রান তাড়া করতে নেমে জল বাটলারের উইকেট শুরুতেই হারায় রাজস্থান রয়্যালস। খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন বাটলার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দুরন্ত ব্যাটিং করেন যশস্বী জয়সওয়াল ও দেবদূত পাড়িকল। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন দুই তরুণ তারকা। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন পাড়িকল। ৮৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৫১ রান করে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। এরপর সঞ্জু স্যামসন এসে মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। ৯০ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থানের।
এরপর যশস্বী জয়সওয়াল ও শিমরন হেটমায়ার দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। অর্ধশতরান করেন যশস্বী। শুরু থেকে মারকাটারি ব্যাটিং করেন হেটমায়ার। ১৩৭ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৫০ করে আউট হন যশস্বী। হেটমায়ার ও রিয়ান পরাগ মিলে দ্রুত গতিতে রান এগিয়ে নিয়ে যান। ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন হেটমায়র ও ১২ বলে ২০ করে রিয়ান পরাগ। দুজনেই আউট হলেও দলকে জয়ের দোরগোরায় পৌছে দিয়েছিলেন দলকে। শেষ ধ্রব জুরেল ছয় নেরে দলকে ২ বল আগে জয় এনে দেন।