ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে অরেঞ্জ আর্মি। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও ৬৯ রান করেন ভিভরান্ত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ১৪০ পার্টনারশিপ করেন মায়াঙ্ক ও ভিভরান্ত। ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়ার পর এই প্রথম হায়দরাবাদের কোনও ওপেনিং জুটি শতরানের পার্টনারশিপ করল। কিন্তু দুই ওপেনার ফিরতেই পরের দিকে রানের গতিবেগ কমে ও পরপর উইকেট হারায়ছ হায়দরাবাদ। মুম্বইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন আকাশ মাধওয়াল।
advertisement
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ইশান কিশান উইকেট হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু তারপর কার্যত পুরো ম্যাচ জুড়ে চলল ক্যামেরন গ্রিন শো। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে রানে ফিরলেন রোহিত শর্মা। দুজনে মিলেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। দ্বিতীয় উইকেটে ঝড়ের গতিতে ১২৮ রানের পার্টনাপশিপ করেন তারা। রোহিত শর্মা ৩৭ বলে ৫৬ করে আউট হন। বাকি কাজ করে দেন গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব। ১৮ তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে দলকে ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি নিজের শতরান পূরণ করেন ক্যামেরন গ্রিন। ৪৭ বলে শতরান করেন গ্রিন। যা এই মরশুমের দ্রুততম।
আরও পড়ুনঃ MS Dhoni: যা অন্য দল পারে না তা করে চেন্নাই, সিএসকের সাফল্যের রহস্য জানালেন ধোনি
এই ম্যাচ জয়ের ফলে ১৪ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে ১৬ পয়েন্ট পৌছল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বর্তমানে রোহিত শর্মার দল পঞ্চম স্থানে। মুম্বইয়ের জয়ে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল গতবারের রানার্সআপ রাজস্থান রয়্যালসের। কিন্তু প্লে অফের চতুর্থ দলের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আরসিবি ও গুজরাত ম্যাচের পর। মুম্বইয়ের রানরেট -০.০৪৪। অপরদিকে ১৩ ম্যাচে ৭ জয় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আরসিবির রানরেট +০.১৮০। অর্থাৎ গুজরাতকে এমনি হারাতে পারলেই প্লে অফে যাবে আরসিবি। মুম্বইয়ের প্লে অফে যেতে হলে হারতে হবে আরসিবিকে।