১. ম্যাচের শুরুতেই টস হেরে প্রথম ধাক্কাটা খায় কেকেআর। ইডেনের পাটা ব্যাটিং উইকেটে রাতের দিকে আরও বেশি ব্যাটিং সহায়ক হয়ে ওঠে। তারউপর টস হেরে বড় টার্গেট সেট করতে হবে এই বিষয়টি শুরু থেকেই হয়তো কেকেআরের মাথায় ঘুরছিল। সেই কারণে নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেটটাই খেলতে পারেনি নাইটরা।
২. জঘন্য ব্যাটিং পারফরম্যান্স রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কেকেআরের হারের অন্যতম কারণ। কারণ ভেঙ্কটেশ আইয়র ছাড়া কোনও কেকেআর ব্যাটারই এদিন বড় রান করতে পারেনি। জেসন রয়-রহমানউল্লাহ গুরবাজের ওপেনিং জুটি থেকে শুরু করে নীতিশ রানা, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেলবা কেউই এদিন দাগ কাটতে পারেননি।
advertisement
৩. ইডেন গার্ডেন্সে স্পিন ভেলকি দিয়ে রাজস্থানকে কাবু করতে চেয়েছিল কেকেআর। আর সেই অস্ত্রই পাল্টা বুমেরাং হয় কেকেআরের। যুজবেন্দ্র তাহলের লেগ স্পিনের ছোঁবলে দিশেহারা দেখায় কেকেআর। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও হন চাহল।
আরও পড়ুনঃ KKR: লজ্জার হারের পর এখনও প্লে অফে যেতে পারে কেকেআর! কিন্তু কীভাবে? রইল বিস্তারিত তথ্য
৪. ১৪৯ রান ডিফেন্ড করতে নেমে কেকেআর বোলিং অ্যাটাক ভাবতেও পারেননি আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ও বিধ্বংসী ইনিংসটা খেলবেম যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম ওভারেই নীতিশ রানাকে ২৬ রান মেরে খেলা পুরোপুরি নিজেদের গ্রিপে নিয়ে আসেন যশস্বী। ১৩ বলে অর্ধশতরান করে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততন হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন যশস্বী। শেষ পর্যন্ত ৯৮ রানের অপরাজিত ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেন জয়সওয়াল।
৫. নীতিশ রানার অধিনায়কত্ব এদিন কেকেআরের হারের পিছনে অন্যতম বড় কারণ। প্রথমত ব্যাট হাতে ব্যর্থতা ও তারপর মাত্র ১৪৯ রান নিয়ে লড়াই করতে নেমে প্রথম ওভার মিজে করতে যাওয়া। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাতে গিয়ে তা বুমেরাং হয়। প্রথম ওভারেই কেকেআর ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে। দলে একাধিক অভিজ্ঞ স্পিনার থাকা সত্ত্বেও কেন রানা নিজে বোলিংয়ে গেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।