এদিন ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান রয়্যালস। গুজরাত স্পিনারদের খেলতে যেভাবে নাজেহাল অবস্থা হল রয়্যালসদের দেখে একেবারেই মনে হয়নি তারা হোম উইকেটে খেলছে। রাশিদ খান ও নুর আহনেদের স্পিনের ভেলকির সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে সঞ্জু স্যামসনের দলের ব্যাটিং লাইন। রাশিদ খান ও নুর আহমেদকে যোগ সঙ্গ দেন মহম্মদ শামি, জোসুয়া লিটল ও হার্দিক পান্ডিয়ারা।
advertisement
রাজস্থনের ব্যাটিং লাইনে একমাত্র সঞ্জু স্যামসন কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করে। ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আর শেষের দিকে ট্রেন্ট বোল্ট ১৫ রানের ইনিংস না খেললে আরও লজ্জাজনক স্কোরের সম্মুখীন হত রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল ১৪ ও দেবদূত পাড়িকল ১২ রান ছাড়া কোনও রাজস্থান ব্যাটার দুই অঙ্কের স্কোর পৌছতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১৮ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস।
১১৯ রানের ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে দিল্লি ম্যাচের মত ভুল করেনি গুজরাত টাইটান্স। ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেন গুজরাতের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। প্রয়োজন মত আক্রমণাত্মক শটও খেলেন দুই ওপনার। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে শুভমান ও ঋদ্ধি জুটি। দশম ওভারে ৭১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাতের। ৩৬ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন শুভমান গিল।
প্রথম উইকেট পরার পর ক্রিজে আসেেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। এসেই মারকাটারি ব্যাটিং করেন তিনি। অ্যাডাম জাম্পার এক ওভারে ৩টি ছয় ও একটি চার মারেন হার্দিক। অপরদিকে, নিজের ব্যাটিং চালিয়ে যান ঋদ্ধি। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাত টাইটান্স। ১৫ বলে ৩৯ রান করে করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ৩৪ বলে ৪১ করে অররাজিত থাকেন ঋদ্ধিমান সাহা। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ৭ জয় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান আরও মজবুত করল গুজরাত।