জলন্ধরের ডেপুটি পুলিশ সুপার লখবিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, আট থেকে দশটি গুলি চালানো হয়েছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতিরা সন্দীপের বুক ও মাথা লক্ষ্য করে ২০ রাউন্ড গুলি চালায়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, প্রায় ১২জন দুষ্কৃতি হামলা চালায় সন্দীপের উপর।
advertisement
কেউ কেউ বলছেন, চার জন বন্দুকধারী ছিল। যে কবাডি প্রতিযোগিতার ম্যাচ চলাকালীন খুন হয়েছেন, সেই প্রতিযোগিতারই অন্যতম সংগঠক ছিলেন সন্দীপ। এমনিতে ইংল্যান্ডে থাকতেন সন্দীপ। প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্যই ভারতে আসতেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে ইংল্যান্ডেই রয়েছেন। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, গলফ খেলার কিছু সরঞ্জাম নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেখান থেকে এত বড় ঘটনা ঘটে যায়।
প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপটের সঙ্গে কবাডি খেলেছেন ৪০ বছরের সন্দীপ। শুধু ভারত বা পঞ্জাব নয়, কানাডা, আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডেও সুনামের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। স্টপারের জায়গায় খেলতেন সন্দীপ। যে কোনও দলে এতটাই অপরিহার্য ছিলেন, কেউ কেউ তাঁকে ‘ডায়মন্ড’ বলেও ডাকত।
সন্দ্বীপের অকাল মৃত্যুতে তার গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইংল্যান্ড থেকে তাড়াতাড়ি ভারতে আসার কথা তার পরিবারের। পঞ্জাব সরকার এই নিয়ে কোন তদন্তের দাবি করেন কিনা সেটাই এখন দেখার। পুরনো পুরনো শত্রুতা রয়েছে কিনা সেটিও দেখা হবে।