বিজয়বর্গীয় বলেন, “যখনই কোনো খেলোয়াড় বাইরে যান, যেমন আমরা বাইরে গেলে স্থানীয় কাউকে জানাই, তেমনই তাদেরও জানানো উচিত। এই ঘটনাটি সবার জন্যই একটি শিক্ষা।” তিনি আরও জানান, ঘটনাটির পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ আইনি ধারাগুলি প্রয়োগ করেছে। তবে তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই বিরোধী কংগ্রেস সমালোচনা করেছে ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
advertisement
কংগ্রেস নেতা অরুণ যাদব মন্তব্যটিকে “দুঃখজনক ও ঘৃণ্য” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মন্ত্রীর মন্তব্য আসলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতিকে ঢাকার চেষ্টা। যাদবের মতে, বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য সরকারের মানসিকতার প্রতিফলন, যেখানে নারীর নিরাপত্তার দায় প্রশাসনের পরিবর্তে ভুক্তভোগীদের ওপর চাপানো হয়।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: কোহলির কেরিয়ার নিয়ে হয়ে গেল বড় ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! কী জানালেন বিরাটের কাছের মানুষ?
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে, যখন দুই অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড় হোটেলের কাছের একটি ক্যাফেতে যাচ্ছিলেন। আকিল খান নামে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে তাদের অনুসরণ করে, এক খেলোয়াড়কে অশালীনভাবে স্পর্শ করে পালিয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর তৎপরতায় তার মোটরসাইকেলের নম্বর নথিবদ্ধ করা হয়, যার ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, আকিল খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সেই ধারাগুলির অধীনে মামলা হয়েছে, যা নারীর শ্লীলতাহানির সঙ্গে সম্পর্কিত। রবিবার ইন্দোরের আদালত তাকে ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দলটি তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে ইনদওরে ছিল। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
