তাঁর নিজের শহর মুম্বইয়ের মেয়ে জেমাইমা রডরিগেজ। ভারতের টি-২০ দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ভারতের মহিলা দলের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির দিকে নজর রেখেছিলেন সূর্যকুমার। আর তার আগে থেকেই তিনি জেমাইমার খেলার ভক্ত বলে জানান। এক অনুষ্ঠানে এই তারকা সূর্য বলেছিলেন, ‘ওর কাছ থেকে কিছু ব্যাপার শেখার আছে। বড় ম্যাচে, চাপের মুখে ও ভাল পারফর্ম করে। আমরা সবাই এটা শিখতে চাই ওর থেকে। জেমির সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল, ও ছোটা প্যাকেট, বড়া ধামাকা। ওর খেলা উপভোগ করি।’
advertisement
সেই জেমাইমাকে নিয়ে আজ গোটা দেশ গর্বিত। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৩৭ রান তাড়া করে জিততে পারে, এটা যেন অনেকে কল্পনা করতে পারেননি। তবে জেমাইমার ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস এদিন তাঁদের ভুল বলে প্রমাণ করল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত। তিনি করেন ৮৯ রান।
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়াকে হারানো যায় না, সেসব দিন অতীত! অজি-বধ করে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত
জেমাইমা মাঠে থাকুন বা মাঠের বাইরে, তাঁকে বোধ হয় হাসিমুখে ছাড়া কেউ কখনও দেখেননি! সেই জেমাইমা এদিন অঝোরে কাঁদলেন। আবেগের কান্না। তাঁর কান্না দেখে চোখে জল গোটা দেশের। সর্ব ক্ষণ হাসি-মজায় দলকে মাতিয়ে রাখেন। ঠিক এই কাজটাই পুরুষদের জাতীয় দলে করতেন যুজবেন্দ্র চাহাল। সেই জেমাইমা এদিন দাঁতে দাঁত চেপে লড়লেন অজিদের বিরুদ্ধে। তাঁর দুরন্ত ইনিংসের সামনে মাথা নোয়ালেন অজি বোলাররা।
