তিনি বলেছেন, এক জন বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এখনও কোনও মন্তব্য না করা বিস্ময়ের। অথচ এক বছর আগেই তাঁকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীও মন দিয়ে তাঁদের কথা শোনেননি। বিনেশ বলেছেন, অনুরাগ ঠাকুর আমার কথা শুনতে আগ্রহী বলে মনে হয়নি। কথা বলার প্রায় পুরো সময়টাই মন্ত্রী ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন – সৌরভের কঠিন প্রশ্নে চাপে রাহুল দ্রাবিড়, প্রথম দিনেই অর্ধে হারার কথা স্বীকার
সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করবেন না। তিনি বলেছেন, সব সমস্যার সমাধান হলে তবেই আমরা এশিয়ান গেমসে অংশ নেব। আপনারা কেউ জানেন না কতটা বিধ্বস্ত আমরা। রোজ কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সে সম্পর্কে কারও ধারণা নেই। দ্রুত ব্যবস্থার আশায় নানা ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা।
কুস্তিগিরদের করা এফআইআরের ভিত্তিতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। কুস্তিগিরদের সঙ্গে আলোচনায় কেন্দ্রের পক্ষে ১৫ জুনের মধ্যে ছ’বারের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান সাক্ষী, বজরংরা। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় যথাযথ তদন্তের আশ্বাস মিললেও প্রতিবাদের পথ থেকে সরতে নারাজ কুস্তিগিরেরা।
কুস্তি কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবি থেকে সরছেন না তাঁরা। ১৫ জুনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আবার পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, ভুক্তভোগীদের উপর বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ঘুরিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে সাক্ষী থেকে বজরং কেউ ভয় পাচ্ছেন না। এই লড়াইয়ের শেষ দেখে তারা ছাড়বেন। প্রয়োজন হলে এশিয়ান গেমস পর্যন্ত তারা বয়কট করতে পারেন।