প্রসঙ্গত আজ থেকে ১১ বছর আগের কথা। ২০১৪ সালে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে হরিয়ানার খেলা চলছিল টিভিতে। সে সময় সঞ্জীব বাবুর পাশেই ছিল তাঁর মেয়ে রুপালি। এরপরে সঞ্জীব বাবুর ইচ্ছা হয় মেয়েদের নিয়ে যদি একটি ফুটবল টিম তৈরি করা যায় কেমন হয়। নিজের মেয়ে রুপালীকে দিয়েই শুরু করলেন কাজ। সঙ্গে নিলেন তাঁর ভাইজি সংগীতাকে। যেমন ইচ্ছা ঠিক তেমনই কাজ। সালানপুর থানার মালবহাল বলে একটি মাঠেই শুরু করলেন সকাল এবং বিকেলে প্রশিক্ষণ।
advertisement
একে একে জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরে খেলা শুরু। আন্ডার ১৭, আন্ডার ১৯, এমনকী রাজ্যের নাম করা ফুটবল টিমে খেলতে শুরু করল মেয়েরা। কিছুদিন আগের “খেলো ইন্ডিয়া”তে খেলে এসেছে তাঁর প্রশিক্ষণ শিবিরের মেয়েরা। এছাড়াও সদ্য খেলে এসেছে ন্যাশনাল গেমস। সেখানে তৃতীয় স্থান অধিকার করে ব্রোঞ্জ পেয়েছে।
আরও পড়ুন- Heavy Rain In Next Week: দু-দু’টি অ্যাকটিভ ওয়েদার চ্যানেল, জোড়া ফলায় নাভিশ্বাস, রইল ওয়েদার আপডেট
ফুটবল কোচ সঞ্জীব বাউরি বলেন, এটা একটা রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্প। এখানে ধুপগুড়ি, দিনহাটা কোচবিহার বীরভূম এমনকি ঝাড়খন্ড থেকেও মেয়েরা এসে থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এখানে থাকা খাওয়ার খরচ বহন করা হয় অনেক কষ্ট করে। এখানে আমরা একটি ক্লাব তৈরি করেছি মাতৃভূমি সকার ক্লাব। আমাদের টিম বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলে যে অর্থ উপার্জন করে তা দিয়েই চলে এই প্রশিক্ষণ।
সঞ্জীব বাউরির বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত সালানপুর ব্লকে। বর্তমানে তিনি পেশায় ফুটবল কোচ। বাড়ির কাছেই তৈরি করেছেন একটি আবাসিক ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির। সোম থেকে শনিবার সকাল ছটা থেকে নয়টা এবং বিকেল চারটে থেকে ছ\’টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সঞ্জীব বাবু। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই মেয়েরা শিখতে পারছে ফুটবল খেলা। জাতীয় স্তরের হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড সহ বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরের থাইল্যান্ডে গিয়ে থেকে এসেছে তার প্রশিক্ষণের তৈরি মেয়েরা।
বর্তমানে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ৩৫ জনের বেশি মেয়ে আছে এবং ছেলে আছে ৩০ জনের কাছাকাছি। স্বাভাবিকভাবেই তার তৈরি এই প্রশিক্ষণ শিবিরের চর্চা শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন মহলে।
Rintu Panja