তিনি নিশ্চিত ভারতীয় দল বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতবে। পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও সিরিজ জয় করবে টিম ইন্ডিয়া। সেই জয় দেশের ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চান শামি। তিনি মনে করেন দেশের এই মহা বিপদের সময় এঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে কাজ করেছেন তার জন্য কোনও কিছুই যথেষ্ট নয়।
advertisement
তবে এইটুকু তিনি করতেই পারেন। নিজেকে গর্বিত বোধ করবেন এমন উৎসর্গ করতে পারলে। আরও ভাল করে বলতে গেলে এই উৎসর্গ করার সুযোগটা পেতে চাওয়াটাই তাঁর ভাল পারফর্ম করার মোটিভেশন হিসেবে কাজে লাগাতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ভারতের আগে ইংল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়ার কারণে কিছুটা হলেও মানিয়ে নেওয়ার বেশি সুযোগ পাবে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলে ভারতের বিরুদ্ধে নামবে উইলিয়ামসনরা।
কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে কোনও দলকেই ফেভারিট মানতে নারাজ তিনি। দুটো দলের কেউই হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে না। তবে যেটুকু সংখ্যক দর্শক মাঠে থাকবে বলাবাহুল্য প্রচুর ভারতীয় তার মধ্যে থাকবেন। শামি জানিয়ে রাখলেন এই মুহূর্তে ভারতীয় ফাস্ট বোলিং শুধু উন্নতি করেনি, দুনিয়ার অন্যতম সেরা। তিনি নিজে ছাড়াও বুমরা, ইশান্ত রয়েছেন। উমেশ, সিরাজ, শার্দুলও রয়েছেন। কমপক্ষে তিনজন ১৪০ কিলোমিটার গতির ওপর বল করতে পারেন। এটা বিরাট সুবিধা মানছেন শামি।
নিজের অভিজ্ঞতা বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার। আগে যেমন জয়ের জন্য শুধুমাত্র ব্যাটিং নির্ভর ছিল দল, শেষ কয়েক বছরে ছবিটা পাল্টে গিয়েছে সাফ জানাচ্ছেন শামি। মাঝপথে আইপিএল বন্ধ হলেও, যেটুকু খেলা হয়েছিল তাতে তিনি যে ফর্মে ফিরছেন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়া থেকে চোট পেয়ে ফিরে আসার পর কামব্যাক করা সহজ ছিল না। কিন্তু বিশ্বাস এবং পরিশ্রম দুটোই বজায় রেখেছিলেন। তাই ফিরতে পেরেছিলেন। কিন্তু শামি মনে করেন তাঁর চোট সারিয়ে দলে ফেরার থেকেও অনেক বেশি কঠিন কাজ করেছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মীরা। আসল হিরো তাঁরাই। তাই তাঁদের জন্যই বিলেতের মাটিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামবেন বাংলার পেসার।