গত কয়েক বছরে অনেক বারই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। শেষ বারের ম্যাচটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তবে শনিবার রাতে নামার আগে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ থাকবেন সুনীল ছেত্রীরা। এর পিছনে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছে-বিপক্ষের থেকে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে ভারত। ঘরের মাঠে ম্যাচ।
advertisement
তবে কম্বোডিয়া ম্যাচের মতো সহজ হবে না বলে মনে করেন স্টিমাচ। সুনীল ছেত্রীদের কোচ বলেছেন, ‘কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে আমরা ভাল খেলেছিলাম। নয়তো সেই ম্যাচটাও কঠিন হতে পারত। তবে অবশ্যই আফগানিস্থান, হংকং আরও কঠিন প্রতিপক্ষ। ট্যাকটিক্যালি অনেক উন্নত। বক্সে প্রচুর ক্রস তোলে। শক্তিশালী অ্যাটাকিং। গতিশীল ফুটবল খেলে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ঠিকঠাক পজিশনিং, ভাল রিডিং দরকার। পাশাপাশি বেশি ডুয়েল জিততে হবে। আমাদের বুদ্ধি করে খেলতে হবে। আফগানিস্তান জেতার মানসিকতা নিয়েই নামবে। শারীরিক গঠনেও ভারতীয় ফুটবলারদের থেকে এগিয়ে থাকবে আফগানরা। তাই ফিজিক্যাল ফুটবল দিয়েই সুনীলদের কাবু করার চেষ্টা করবে তারা।
তার উপর ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবে খেলার সূত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চের অভিজ্ঞতাও ওদের অনেক বেশি। স্টিমাচ অবশ্য বলছেন, ওদের ফুটবলাররা আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলে যার গুণগত মান আইএসএলের থেকে ভাল। তাই ওদের মধ্যে একটা ঔদ্ধত্য রয়েছে। ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতেই রাখতে হবে।
আগের বার যখন আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত, তার থেকে এখন দল অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে, দাবি ক্রোয়েশিয়ান কোচের। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জানিয়েছিলেন, শুরু থেকেই অলআউট ঝাঁপাবে দল। কিন্তু আফগানিস্তান ম্যাচে খুব বেশি প্রেসিং ফুটবলে আগ্রহী নন স্টিমাচ।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাই প্রেসিং ফুটবল ১৫ মিনিটের বেশি খেলা যায় না। এরকম আদ্রতার মধ্যে একটানা একই ছন্দ ধরে রাখা খুবই কঠিন। আমাদের তাড়াহুড়ো করার কোনও কারণ নেই। প্রথম ম্যাচে যা ভুল করেছিল ভারতীয় দল, আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টায় থাকবেন ব্লু টাইগাররা।