সুনীল আগেই জানিয়েছেন এশিয়ায় প্রথম দশের মধ্যে আসতে গেলে তার থেকেও ভালো ফুটবলার তৈরি করতে হবে ভারতকে। সেটা সম্ভব ছোট থেকে কোচিং করলে। তৃণমূল স্তর থেকে ছেলেদের তৈরি করতে হবে এক ধরনের ফুটবল দর্শন দিয়ে। ছোট ছোট পাস, সঙ্গে হঠাৎ করে লম্বা থ্রু, পাওয়ার এবং স্কিলের মিশ্রণ আধুনিক ফুটবলে এসব লাগে সফল হতে গেলে। ফিটনেসের দিক থেকে ভারতের ছেলেরা এখন অনেক এগিয়ে। সেটা প্রমাণ হয়েছে কুয়েত এবং লেবাননের মত মধ্যপ্রাচ্যের দলের বিরুদ্ধে।
advertisement
কিন্তু শক্তিতে আরও উন্নতি করতে হবে। প্রাথমিক স্কিল নিয়েও কাজ করতে হবে। তবে এসব অনেক দূরের ব্যাপার। সুনীলের প্রাথমিক লক্ষ্য এই মুহূর্তে এশিয়ান গেমস এবং তারপর পরের বছর এশিয়ান কাপ। এই দুটো টুর্নামেন্টেই আপাতত মনোনিবেশ করতে চান ভারত অধিনায়ক। সিনিয়র ফুটবলার হিসেবে তিনজনের নাম পাঠানো হয়নি। তবে সুনীল নিশ্চিত ফেডারেশন তার সঙ্গে সন্দেশ এবং গুরপ্রীতের নাম পাঠিয়ে দেবে শেষ মুহূর্তে।
অন্যদিকে ভারতের কোচ ইগর স্টিম্যাক জানিয়েছেন এশিয়ার সেরা দশে এবং ফিফায় প্রথম আশির মধ্যে থাকতে গেলে তার কথায় ভরসা রাখতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে। তবেই চার বছর পর ভারতের স্বপ্ন কিছুটা হলেও পূর্ণ হবে। তার মাঝে মাঝে ভাবতে অবাক লাগে এত বড় দেশ হয়েও ভারতবর্ষের ফুটবল কেন এত পিছিয়ে আছে। কেন শুধু ক্রিকেট আর ক্রিকেট?
বাংলা, কেরল, গোয়া এবং মনিপুরের বাইরে কেন ফুটবল নিয়ে চর্চা কম? এটা অবশ্যই পরিবর্তন হওয়া দরকার। ফুটবল নিয়ে সচেতনতা ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে নেই। এই জন্যই ভারত ফুটবলের দেশ হতে পারেনি এখনও।