এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই নতুন স্পনসর খুঁজতে উদ্যোগী হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর বোর্ড একটি ‘Expression of Interest’ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাতীয় দলের লিড স্পনসর অধিকার চেয়ে আগ্রহী সংস্থাগুলোর কাছে প্রস্তাব আহ্বান করেছে। যদিও এশিয়া কাপ শুরু হতে বাকি মাত্র এক সপ্তাহ এবং দলের দুবাই রওনা দেওয়ার আগে হাতে সময়ও খুব কম, তবুও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো স্পনসরের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
advertisement
স্পনসর বাছাই প্রক্রিয়াটি জটিল হয়ে পড়েছে কারণ বিসিসিআই বেশ কয়েকটি কঠোর শর্ত আরোপ করেছে। অনলাইন গেমিং, বেটিং বা জুয়া সংস্থাগুলো বিড করতে পারবে না। এমনকি যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তারাও এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। তামাকজাত দ্রব্য তৈরি করে তেমন কোম্পানিও পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি অনেক সম্ভাব্য বিডারকে বাইরে রাখছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় দলের প্রধান স্পনসর হওয়ার জন্য কারা করতে পারবে বিড? একগুচ্ছ নিয়ম বেঁধে দিল বিসিসিআই
এ ধরনের কঠোর নিয়মের বোর্ডের ভাবমূর্তি রক্ষা করলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নতুন স্পনসর পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। যদিও বোর্ডের আর্থিক স্থিতি বেশ মজবুত, তবুও দলের জার্সিতে কোনও স্পনসর না থাকা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হবে। ফলে ২০২৫ এশিয়া কাপে ভারতীয় পুরুষ দলকে একটি প্রায় সম্পূর্ণ ফাঁকা, স্পনসরহীন জার্সিতে দেখা যেতে পারে। শেষ মুহূর্তে কোনও নতুন চুক্তি হয় কিনা সেটাই দেখার।
