দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর, অভিজ্ঞ ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা, তরুণ খেলোয়াড় বৈষ্ণবী শর্মা সহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটার বিশাখাপত্তনমের ঐতিহ্যবাহী সিমহাচলম পাহাড়চূড়ার এই মন্দিরে পুজো দেন এবং আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দাপুটে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার একদিন পরই এই মন্দির দর্শনে যান খেলোয়াড়রা। সেখানে তাঁরা ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন।
advertisement
মন্দির কর্তৃপক্ষ ভারতীয় দলকে অভ্যর্থনা জানায় এবং তাঁদের হাতে প্রসাদ ও পবিত্র সামগ্রী তুলে দেয়। ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির মাঝেও এই সফর খেলোয়াড়দের জন্য কিছুটা শান্ত ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তির মুহূর্ত এনে দেয়, যখন ভারত সিরিজে তাদের শক্তিশালী শুরুকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।
বিশাখাপত্তনমের ড. ওয়াই. এস. রাজশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণকারী। ফলে হরমনপ্রীতরা প্রতিপক্ষকে কার্যত উড়িয়ে দেয়। ১২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত ১৪.৪ ওভারে কাজ সেরে ফেলে, হাতে থাকে আরও ৩২ বল।
‘উইমেন ইন ব্লু’-র হয়ে ম্যাচের সেরা পারফরমার ছিলেন জেমিমা রডরিগেজ। ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান এবং দৃঢ়তা ও নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে রান তাড়া সামলান। তাঁর সঙ্গে ভালো সঙ্গ দেন স্মৃতি মান্ধানা, যিনি ২৫ রান করেন। ফলে ভারত সহজেই জয়ের পথে এগিয়ে যায়।
৩৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও নিচের দিকে ব্যাট করে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন, ফলে তাঁদের দাপট শেষ পর্যন্ত অটুট থাকে।
এর আগে, ভারতীয় বোলাররা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের ওপর চাপ বজায় রাখেন এবং শ্রীলঙ্কাকে সীমিত স্কোরে আটকে দেন। অভিষেক ম্যাচে বৈষ্ণবী শর্মা কৃপণ বোলিং করে নজর কাড়েন—৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও তাঁর বোলিংয়েই হাসিনি পেরেরা ক্যাচ পড়ে যাওয়ায় তিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে উইকেট থেকে বঞ্চিত হন।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করল ভারত। মঙ্গলবার আসন্ন ম্যাচেও জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্য থাকবে হরমনপ্রীতদের।
