আক্রম বলেন, ‘‘বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ১৫ রান দিয়ে হ্যারিস রউফ রান মেশিনে পরিণত হয়েছেন। আমি একা নই, পুরো দেশই তাঁর সমালোচনা করছে। তিনি লাল বলের ক্রিকেট খেলেন না এবং দলে যোগ দিতেও চান না। রউফের অন্তত চার-পাঁচটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা উচিত ছিল।’’
advertisement
ওয়াসিম আক্রম বিশ্বাস করেন যে হ্যারিস রউফের দুর্বলতা হল তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এবং শুধুমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেছেন। এতে চাপের মধ্যে খেলার মানসিক দৃঢ়তা তৈরি হয়নি।
শেষ ওভারে রান দেওয়া হয়েছে, এটাও দলের দুর্বলতা বলে চিহ্নিত করেছেন আক্রম। ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের শেষ ওভারে ৬৪ রানের প্রয়োজন ছিল, এই সময়ে হ্যারিস রউফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সুযোগটি কাজে লাগাননি এবং মাত্র ১৭ রান দেন। রউফ ১৮তম ওভারেও ভাল বোলিং করেছিলেন, কিন্তু শেষ বলে ছক্কা মারলে ম্যাচটি পাকিস্তানের হাত থেকে ছিটকে যায়।
আক্রম আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের খেলোয়াড়দের চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যে তাঁদের চরিত্র এবং মানসিক শক্তি বিকাশের জন্য টি-টোয়েন্টি খেলার আগে প্রথম শ্রেণীর এবং লাল বলের ক্রিকেট খেলতে হবে। এই সমালোচনা পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ফাস্ট বোলার হ্যারিস রউফের জন্য একটি বড় ধাক্কা তো বটেই, যাঁর কাছ থেকে দল ম্যাচটি ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিল।
এই হারের পর ওয়াসিম আক্রমের তীব্র প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানি ক্রিকেট লিগে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে ভুলে গেলে চলবে না যে কিছু দিন আগেই প্রতিপক্ষকে কেমন অন্যায্য ব্যঙ্গ করেছিলেন হ্যারিল রউফ। এশিয়া কাপের সুপার ফোর ম্যাচের সময় ক্রিকেটার হ্যারিস রউফের উস্কানিমূলক আচরণের নিন্দা করেছেন অনেকেই।
রউফ যুদ্ধবিমানের নকল করেছিলেন, স্পষ্টতই তা ভারতের সামরিক অভিযানের প্রতি কটাক্ষ ছিল। এই আচরণকে সমর্থন করেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) প্রধান তথা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি। ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর একটি ভিডিও পোস্ট করে বিমান দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে তিনিও ব্যঙ্গ করেন। যা-ই হোক, এখন যখন পাকিস্তান নিজেই রউফের সমালোচনা করছে, তখন কৃতকর্মের ফল হাতেনাতে পেয়েছেন বলাই যায়!