ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং কার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যত বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। শাহিন আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফের দাপটে আগুনে স্পেলে ধসে যায় ভারতের টপ অর্ডার। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়র, শুভমান গিল সকলেই ব্যর্থ বড় রান করতে। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন ইশান কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া।
advertisement
চাপের মুহূর্তে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেন হার্দিক ও ইশান। তবে স্কোর বোর্ডকে কখনই থামতে দেননি। সিঙ্গেলস-ডাবলসের মাঝে বাজে বল পেলেই প্রহারও করেন দুজন। প্রবল চাপের মাঝে লড়াকু ব্যাটিং করে শতরানের পার্টনারশিপ করেন হার্দিক ও ইশান জুটি। নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন দুজনেই। তাদের ব্যাটে ভর করেই দুশো রানের গণ্ডি পার করে ভারতীয় দল।
১৩৮ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। দলের ২০৪ রানের মাথায় হ্যারিস রউফের বলে হুক মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ আউট হন ইশান। ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ৯টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো ইশানের ইনিংস। এরপর হার্দিক নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। দলের ২৩৯ রানের মাথায় শাহিন আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ৮৭ রান করে আউট হন হার্দিক। নিজের ইনিংসে ৭টি চার ও একটি ছয় মারেন হার্দিক।
ইশান ও হার্দিক ফিরতেই ফের দাপট দেখান পাক পেসাররা। জাদেজা, শার্দুলরা কিছুটা লড়াই দিতে পারলে ভারতের স্কোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মত জায়গায় চলে যেত। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি আর ৩টি করে উইকেট নেন হ্যারিস রউফ ও নাসিম শাহ। এবার ভারতীয় বোলাররা এই রান নিয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।